ভিকারুননিসার অধ্যক্ষ ও সভাপতির বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ

ঢাকার ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ফেরদৌসি বেগম ও সভাপতি গোলাম আশরাফ তালুকদারের বিরুদ্ধে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন স্কুলটির গভর্নিং বডির সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. ইউনুস আলী আকন্দ।

মঙ্গলবার রেজিস্ট্রি ডাকযোগে এ নোটিশ পাঠান তিনি। নোটিশে স্কুলটির দুই কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের চিত্র তুলে ধরেছেন এই আইনজীবী।

দীর্ঘ ৮ বছর পর এ প্রতিষ্ঠানে স্থায়ী অধ্যক্ষ নিয়োগে আগামী ২৬ এপ্রিল নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এতে মোট ছয় প্রার্থী অংশ নেবেন বলে জানা গেছে। তবে ইউনুস আলী আকন্দ অভিযোগ করেছেন, অধ্যক্ষ পদে আবেদনকারী সবাইকে পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ দেয়া হচ্ছে না। গভর্নিং বডির সদস্য হিসেবে তাকে অধ্যক্ষ নিয়োগ কমিটিতে থাকার কথা থাকলেও তাকে রাখা হচ্ছে না।

এমতাবস্থায় তিনি নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। কোন আইনে নিজেদের পছন্দমতো মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালককে নিয়ে নিয়োগ কমিটি করে অধ্যক্ষ নিয়োগের চেষ্টা করা হচ্ছে-তা জানতে চেয়েছেন তিনি।

এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদেরকে নিয়োগে অগ্রাধিকার দেয়া হবে বলে যে শর্ত থাকার কথা তা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ নেই বলে নোটিশে উল্লেখ করেছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘এই ঐতিহ্যবাহী স্কুলের অধ্যক্ষ হওয়ার মতো যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক রয়েছে এবং তাদেরকেই নিয়োগে অগ্রাধিকার দেয়া উচিৎ। কিন্তু তাদেরকে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে না।

ফলে আমি সন্দেহ করছি, অন্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষককে যোগসাজশ করে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দিতে ষড়যন্ত্র চলছে। আমি এটা বাধা দেব বলেই হয়তো আমাকে কমিটিতে রাখা হয়নি। আপনাদের পছন্দের দুইজন সদস্যকে কমিটিতে রাখা হয়েছে অথচ আমাকে বা অন্যদেরকে রাখা হয়নি, যা অবৈধ বলে বিবেচিত হয়েছে।’

নোটিশের শেষে ইউনুস আলী আকন্দ বলেছেন, আপনাদের গত ২০ এপ্রিলের চিঠি অপরিপক্ক। ফলে এই অধ্যক্ষ নিয়োগ অনুমোদন বিষয়ে আগামী ২৭ এপ্রিলের সভার এজেন্ডাও বৈধ না। ফলে এই সভার চিঠি প্রত্যাহার করে অধ্যক্ষ নিয়োগে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অন্যথায় আদালতে রিট বা দেওয়ানি মামলা করা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) ফেরদৌসি বেগম বলেন, ‘নিয়মমাফিক পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট অধ্যক্ষ নিয়োগ কমিটি করা হয়েছে। আগামী ২৬ এপ্রিল সরকারি প্রতিনিধির উপস্থিতিতে নিয়োগ পরীক্ষা নেয়া হবে।’

তিনি বলেন, যখন নিয়োগ কমিটি গঠন করা হয়েছে, সে সময় কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। শেষ সময়ে এসে কমিটি গঠনে অনিয়ম হয়েছে বলে আইনি নোর্টিশ দেয়া হয়েছে। গভর্নিং বডির সদস্য হয়ে এমন কার্যক্রম বাড়াবাড়ি ছাড়া আর কিছু না বলে মন্তব্য করেন অধ্যক্ষ।

বিএ-১৭/২৪-০৪ (শিক্ষা ডেস্ক)