রাবিতে কৃষকের ঘামের মূল্যের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

কৃষকের ধানের নায্যমূল্যর দাবিতে মানববন্ধন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থীরা। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে কৃষকের শ্রমের মূল্য ও কৃষকের ওপর চলমান নৈরাজ্য বন্ধের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষকের সন্তানেরা এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।

সেখানে মানববন্ধনকারীরা নিজেদের কৃষকের সন্তান বলে পরিচয় দেন। কৃষকের ফসলের মূল্য দাবি করে এবং তাদের সাথে চলে আসা বৈষম্য তুলে ধরেন এবং ‘কৃষক কেন না খেয়ে মরে?’, ‘কৃষকের কাছ থেকে ধান কিনতে হবে মিল মালিকদের কাছে নয়,’ ‘আমরা চাষার ছেলে ফসলের ন্যায্য মূল্য চাই ’ ইত্যাদি নানা স্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে মানববন্ধনে অংশ নেন তারা।

দুপুর ১২ টায় আয়োজিত এই মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফোকলোর বিভাগের শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান আভা বলেন, কৃষি ও কৃষকের কাছে পোতা রয়েছে আমাদের নাড়ি। আমরা যারা এই ভূখন্ডের সন্তান তাদের অধিকাংশের ধমনীতেই কৃষকের রক্ত বহমান। এখনও আমরা অধিকাংশই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কৃষির সঙ্গে সম্পৃক্ত।

কিন্তু সেই কৃষিকাজের সঙ্গে যারা সম্পৃক্ত তাদের আজ বেহাল অবস্থা। ফসলের নায্য মূল্য থেকে তারা বঞ্চিত। নায্য মূল্য না পেয়ে ধানের ক্ষেতে আগুন ধরানোর মত ঘটনাও ঘটেছে। কৃষক সমাজ আজ মরতে বসেছে। তাই আমরা চাই অচিরেই কৃষি পণ্যের নায্যমূল্য ফিরিয়ে দেওয়া হোক।

ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাব্বত হোসেন মিলন বলেন, কৃষকদের ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। যেসব অসাধু ব্যবসায়ী আছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সরকারের কাছে আবেদন থাকবে, যাতে সরকার কতৃক বরাদ্দকৃত সকল সুযোগ সুবিধা কৃষকেরা পায় সেদিকে সুদৃষ্টি দিতে হবে।

কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে। এই কৃষকেরা যদি এভাবে মার খেতে থাকে তবে দেশের কোন উন্নয়নই স্থিতিশীল হবে না, সরকারকে এটা মাথায় রাখতে হবে।

উল্লেখ্য বর্তমানে কৃষি পণ্যের দামে ব্যাপক নৈরাজ্য চলছে। ১ কেজি ধানের দাম ১২ টাকা অথচ ১ কেজি চাউলের দাম ৫০ টাকা। একমণ ধান বিক্রি করেও ১ কেজি গরুর মাংস কেনার সাধ্য নেই কৃষকের। ফলে ধানের ফলন ভালো হলেও ব্যাপক ক্ষতির মুখে পরেছে কৃষক সমাজ।

বিএ-১৯/১৫-০৪ (শিক্ষা ডেস্ক)