রাবির হলের খাবারে বড়শি-কেঁচো, বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীদের ভাঙচুর

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের ডাইনিং এ খাবারে মাছ ধরা বড়শি ও কেঁচো পাওয়া গেছে। শুক্রবার দুপুরে রাবির নবাব লতিফ হলে এই ঘটনা ঘটে।

পরে বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা অভ্যন্তরে চেয়ার, সিসিটিভি ক্যামেরা ভাঙ্চুর করে। ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়েছে।

জানা যায়, হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ইমরান হোসেন ডাইনিং এর মাছ ভর্তার মধ্যে মাছ ধরা বড়শি ও কেচো পাওয়ার পর আন্দোলন শুরু হয়।
শুধু আজকে নয় এর আগেও হলের ডাইনিং এর খাবারে পোকা মাকড় পাওয়ার অভিযোগ ছিলো শিক্ষার্থীদের।

শিক্ষার্থীদের দাবি হল প্রাধ্যক্ষ তাঁদের কোনো কল্যাণে আসেন না। আন্দোলন কালে খাবারে বড়শি কেনো, অজুখানা নেই কেনো, রিডিং রুম নেই কেনো? ক্যান্টিন নেই কেনো? প্রশাসন জবাব চাই বলে শ্লোগান দিতে থাকেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা।

এদিকে হল প্রাধ্যক্ষ ড. একরাম হোসেন শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থামাতে চেষ্টা করলেও তারা থামেনি। ভিতরে প্রবেশ করতে চাইলেও ঢুকতে দেয়া হয়নি তাকে।

পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান উপস্থিত হয়ে হল প্রাধ্যক্ষসহ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন।

জানতে চাইলে প্রক্টর অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের অভিযোগ আমলে নিয়ে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে।

হলের আবসিক শিক্ষক সাইফুর রহমানকে আহবায়ক করা হয়। অন্য দুই আবাসিক শিক্ষক ড. আব্দুল হালিম, ড. ছালেকুজ্জামান খাঁন সদস্য হিসেবে আছেন।

বিএ-২০/২০-০৯ (শিক্ষা ডেস্ক)