আবরার হত্যার সুষ্ঠু বিচারের দাবি রাবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় নিপীরণ বিরোধী শিক্ষক-শিক্ষার্থী ঐক্য।

রোববার দুপুর ১টায় সিনেট ভবনের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এ দাবি তারা জানায়। এসময় তারা ছয় দফা দাবিও জানায়।

তাদের দাবিগুলো হলো- প্রতিটি আবাসিক হলের গেস্ট রুম, বারান্দা, করিডোর ইত্যাদি) সিসি-টিভির আওতায় নিয়ে আসতে হবে, হল প্রশাসনকে ছাত্র-ছাত্রীদেও বৈধ সিট বুঝিয়ে দিতে হবে এবং হলে অবস্থানরত সকল ছাত্রছাত্রীর নিরাপত্তার সম্পূর্ণ দায় প্রশাসনের, হলের সিট বন্টনের ব্যাপারে কোন ছাত্র সংগঠনের কোন ধরণের হস্তক্ষেপ চলবে না, অবৈধভাবে বসবাসরত সকল ছাত্র-ছাত্রীদের হল থেকে বের করে দিতে হবে, দলীয় পক্ষপাতের ঊর্ধ্বে থেকে প্রক্টরিয়াল বডি তাদের দায়িত্ব পালন করবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক মত ভিন্নতার কারণে কোন শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারীর সাথে অসাদাচরণ করা যাবে না এবং তাদের মৌলিক অধিকার সুরক্ষার দায়িত্ব শতভাগ পালন করতে হবে।

এসময় সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক আফরিনা মামুন বলেন, ‘আজ এখানে এসে দাড়িয়েছি একজন মা হিসেবে। আর তাই মা হিসেবে নিজেকে হতভাগা এবং আপরাধী মনে হয়। একজন মেধাবী শিক্ষার্থীকে কিভাবে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা যেভাবে হত্যা করেছে, এটা ভাবলে গায়ের লম শিওরে উঠে।

আমি এই হত্যাকান্ডের সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাই। আর যদি সুষ্ঠু বিচার না হয় তাহলে আন্দোল চালিয়ে যাবো। তার কারণ এর আগে অনেক হত্যাকান্ড হয়েছে, কিন্তু বিচারের আশ্বাস পর্যন্তই সীমাবদ্ধ রয়েছে।’

শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট এর অধ্যাপক আফতার বানু আল্পনা বলেন,‘বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশির ভাগ কৃষক, শ্রমিক, দিন মজুর এবং নিম্ন মধ্যম আয়ের পরিবারের ছেলে মেয়েরা ভর্তি হয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে তাদের থাকার ব্যবস্থা হয়না। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সৌন্দর্য বর্ধনের নামে কোটি টাকা দুর্নীতি করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আবার দলীয় ক্ষমতার বলে হলের সিট দখল করে সিট বাণিজ্য করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। যার ফলে গরিব ঘরের সন্তানেরা অবহেলিত হয়। শেষে হলের ক্ষমতায় থাকা ছাত্রলীগ নেতারা তাদের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে তাদের ব্যবহার করে। এতে অনি”ছাকৃতভাবেই ধ্বংসের দিকে চলে যায় একজন সাধারণ শিক্ষার্থীর জীবন।’

আরবি বিভাগের শিক্ষক ইফতিখারুল আলম এর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন, কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক সাইদুল ইসলাম শামীম, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল্লাহ শামস বিন তারিক, অধ্যাপক সালেহ হাসান নাকিব এবং শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান প্রমুখ। এসময় প্রায় বিভিন্ন বিভাগের প্রায় দেড় শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

বিএ-১২/১৩-১০ (শিক্ষা ডেস্ক)