রাবি প্রশাসনের দুর্নীতির বিচার দাবি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আগের প্রশাসন অধ্যাপক ড. মিজানউদ্দিনের আমলে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণে দুর্নীতি ও বঙ্গবন্ধুকে অবমাননা, ঢাকাস্থ অতিথি ভবন ক্রয়ে ১০ কোটি টাকা দুর্নীতিসহ সকল প্রকার দুর্নীতির তদন্ত ও বিচার দাবিতে মানববন্ধন করেছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ। রোববার বেলা ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে এ মানববন্ধন করা হয়।

সংগঠনটির আহ্বায়ক অধ্যাপক এম মজিবুর রহমান বলেন, গত প্রশাসনের সময়কালে ঢাকায় অতিথি ভবন ক্রয় প্রক্রিয়া নিয়ে দুর্নীতির কথা আমরা জানি। সেখানে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি করা হয়েছে। যার তদন্ত এখনো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অতিথি ভবন না থাকায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ ঢাকায় থাকতে নানা অসুবিধার সম্মুখীন হন।

এছাড়াও গত প্রশাসনের সময়ে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিস্তম্ভে দুর্নীতি হয়েছে। স্মৃতিস্তম্ভে বঙ্গবন্ধুর প্রতিচ্ছবি বিকৃত করা হয়েছে। যা অত্যন্ত অপমানজনক। এসব দুর্নীতির তদন্তে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন।

ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক চিত্তরঞ্জন মিশ্র বলেন, গত প্রশাসনের যারা দুর্নীতি করেছে, এখন তারা নিজেদের দুর্নীতিকে আড়াল করার জন্য আন্দোলনে নামছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একটি গ্রুপ প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের নাম ব্যবহার করে সারাদেশে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করে যাচ্ছে । অথচ তাদের বিরুদ্ধেই অসংখ্য দুর্নীতির অভিযোগ। সকল দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান অটল থাকবে।

পপুলেশন সায়েন্স এন্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল গণির সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরো বক্তব্য দেন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক আরিফুর রহমান, সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক রবিউল ইসলাম, আইন বিভাগের অধ্যাপক হাসিবুল আলম প্রধান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক তারেক নূর, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী জাহিদুর রহমান, বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুমাইয়া খানম।

এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. লুৎফর রহমান, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক প্রভাষ কুমার কর্মকারসহ বিভিন্ন বিভাগের দুই শতাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন ।

বিএ-১০/২৬-০১ (শিক্ষা ডেস্ক)