অ্যাসাইনমেন্ট ফি নিয়ে যা বললেন শিক্ষামন্ত্রী

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, শুধু কোভিড-১৯ কিংবা ডেঙ্গুর কারণে নয়, সুস্থ সুন্দর জীবনের জন্য নিজ বাড়ির আঙিনাসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

তিনি আরও বলেন, অনেকেই অভিযোগ করেন, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অ্যাসাইনমেন্ট ফি নেওয়া হচ্ছে। বাস্তবে এমনটি করার কোনো সুযোগ নেই। হয়তো অন্য কোনো বকেয়া (বেতন) সমন্বয় করতে গিয়ে এমন ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হচ্ছে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী। তবে কোথাও অসঙ্গতি পাওয়া গেলে সংবাদমাধ্যমকর্মীদের এসব তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।

শুক্রবার দুপুরে চাঁদপুর সার্কিট হাউসে উপস্থিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এসব কথা বলেন।

এ সময় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট নুরুল আমিন রুহুল, জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ, জেলা পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) সুদীপ্ত রায়, চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র অ্যাডভোকেট জিল্লুর রহমান জুয়েল, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জাহিদুল ইসলাম রোমান, পাবলিক প্রসিকিউটর রঞ্জিত রায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।এদিকে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বিকেলে জেলার হাইমচরে বেশ কয়েকটি নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন উদ্বোধন করেন।

এর আগে সকালে রাজধানীতে শিক্ষা বিষয়ক এক সেমিনারে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশের লক্ষ্যমাত্রা সামনে রেখে শিক্ষার নতুন কারিকুলাম তৈরি করা হচ্ছে। কারিগরি শিক্ষাকে মাধ্যমিক পর্যায়ে প্রসার করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, নবম-দশম শ্রেণিতে বিজ্ঞান, মানবিক বা বাণিজ্য এমন কোনো বিভাগ থাকবে না। তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত কোনো পরীক্ষা রাখছি না আমরা।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বর্তমানে বেশিরভাগ শিক্ষিত তরুণের দক্ষতা আর চাকরির নিয়োগকর্তাদের চাহিদার মধ্যে ব্যবধান অনেক। এটা কমিয়ে আনতে হবে। মাধ্যমিক পর্যায়ে একটি ট্রেডে শিক্ষা নিতে হবে। যাতে সে পরবর্তীতে লেখাপড়া না করলেও আত্মকর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারে।

ডা. দীপু মনি বলেন, কর্মমুখী শিক্ষা এবং উদ্যোক্তা তৈরিকে প্রাধান্য দিয়েও বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা হবে। এরই মধ্যে কুড়িগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বিল সংসদে পাস হয়েছে।

বক্তব্যের এক পর্যায়ে তিনি মন্তব্য করেন, আমাদের বর্তমানে যারা শিক্ষকতা করছেন তাদের একটি বড় অংশ ঘটনাচক্রে, অন্য পেশায় না যেতে পেরে এখানে এসেছেন। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে যাতে শিক্ষক হওয়ার লক্ষ্য নিয়েই এ পেশায় আসেন সে বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে।

এসএইচ-২৮/১৭/২১ (শিক্ষা ডেস্ক)