ক্লাস বাড়ছে তৃতীয়-চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের

আগামী সপ্তাহ থেকে প্রাথমিক স্তরের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ক্লাসও সপ্তাহে দুই দিন করার কথা জানা গেছে। বর্তমানে এসব শ্রেণিতে সপ্তাহে এক দিন করে ক্লাস চলছিল।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। মঙ্গলবার এ বিষয়ে শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আলমগীর মুহম্মদ মনসুরুল আলম জানান আদেশ দিয়ে বিষয়টি জানানো হবে।

এর আগে গত সোমবার থেকে মাধ্যমিকের অষ্টম ও নবম শ্রেণির ক্লাস এক দিন করে বাড়িয়ে সপ্তাহে দুই দিন করা হয়। ওই সময় থেকেই প্রাথমিক স্তরের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ক্লাসও এক দিন করে বাড়ানোর কথা ভাবা হয়। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায়।

দীর্ঘ দেড় বছর বন্ধ থাকার পর ১২ সেপ্টেম্বর প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়।

চলতি বছরের ও আগামী বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থী এবং পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। আর অন্যান্য শ্রেণির ক্লাস সপ্তাহে এক দিন করে হলেও এখন তা পর্যায়ক্রমে বাড়া নো কথা চিন্তা করা হচ্ছে।

মাধ্যমিকে যেদিন যেসব শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যাচ্ছে, সেদিন তাদের দুটি করে ক্লাস হচ্ছে। আর প্রাথমিকে তিনটি করে ক্লাস হচ্ছে। তবে শিশু শ্রেণি, নার্সারি ও কেজি শ্রেণির মতো প্রাক-প্রাথমিক স্তরের শ্রেণিকক্ষের ক্লাস আপাতত বন্ধ রয়েছে।

এর আগে শুক্রবার ২০৪১ সালের উন্নত বাংলাদেশের লক্ষ্যমাত্রা সামনে রেখে শিক্ষার নতুন কারিকুলাম তৈরি করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তিনি বলেন, কারিগরি শিক্ষাকে মাধ্যমিক পর্যায়ে প্রসার করা হয়েছে। নবম-দশম শ্রেণিতে বিজ্ঞান, মানবিক বা বাণিজ্য এমন কোনো বিভাগ থাকবে না। তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত কোনো পরীক্ষা রাখছি না আমরা।

শুক্রবার সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শিক্ষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত ‘শিক্ষা: ২০৪১ সালের লক্ষমাত্রা অর্জনের বাস্তবিক কৌশল’ শীর্ষক সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মূল্যায়নের পদ্ধতি বদলে ফেলা হয়েছে। শুধু পরীক্ষা-পরীক্ষা-পরীক্ষাই করে যাচ্ছি আমরা। আমাদের পুরো পড়ালেখা পরীক্ষার সনদের মধ্যে আটকে গেছে। পরীক্ষা কেন? একজন শিক্ষার্থীর যোগ্যতা, দক্ষতা দেখার জন্য। সেই দক্ষতা, যোগ্যতা দেখার তো আরও অনেক পদ্ধতি আছে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পরীক্ষার ভারে শিক্ষাজীবন কাটায় শিক্ষার্থীরা। এটা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আমরা ধারাবাহিক মূল্যায়ন ব্যবস্থায় জোর দিচ্ছি। সামগ্রিক মূল্যায়নের গুরুত্ব কমে যাবে। এতে করে কেবল পরীক্ষার আগে লেখাপড়া করার পরিবর্তে নিয়মিত শিক্ষায় মনোযোগী হবে শিক্ষার্থীরা।

এক্ষেত্রে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিতে হবে বলেও মনে করেন শিক্ষামন্ত্রী।

বলেন, আমাদের লক্ষ্য পড়াশোনার মধ্যে আনন্দ নিয়ে আসা। পড়াশোনা যাতে চাপে রূপ না নেয়।

এসএইচ-৩২/২১/২১ (শিক্ষা ডেস্ক)