যেভাবে নেওয়া হবে এসএসসি পরীক্ষা

দেশে ১৪ই নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষা।

করোনাভাইরাস মহামারির কারণে দেড় বছর পর এটাই প্রথম কোন পাবলিক পরীক্ষা।

কর্তৃপক্ষ বলছে ২২ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী এই পরীক্ষায় অংশ নেবে দেশব্যাপী।

এই পরীক্ষার সময় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে নানা ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এসএসসি পরীক্ষার জন্য সারা দেশে সাড়ে তিন হাজারের বেশি কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে, তারই একটা কেন্দ্র ঝালকাঠির হরচন্দ্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়।

এই কেন্দ্রে ছ’শর বেশি শিক্ষার্থী পরীক্ষা দেবেন।

এই স্কুলের পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বে রয়েছেন ফাইজুননেছা।

তিনি বলেন, “অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে। টেম্পারেচার মাপার জন্য যন্ত্র রয়েছে।

কারো যদি টেম্পারেচার বেশি থাকে তাহলে সে আইসোলেশন রুমে পরীক্ষা দেবে। একই সঙ্গে শিক্ষকদের টেম্পারেচারও পরীক্ষা করা হবে।”

তিনি বলছেন অভিভাবকরা যাতে স্কুলের বাইরে ভিড় করতে না পারেন সেজন্য স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন সহযোগিতা করবে।

মহামারির মধ্যে প্রথম এই পাবলিক পরীক্ষা নিয়ে আগেই শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে কিছু নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

সেসব নির্দেশনায় স্বাস্থ্যবিধি মানার উপর বেশি জোর দেয়া হয়েছে।

কর্তৃপক্ষ বলছে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টি শুধুমাত্র শিক্ষক বা শিক্ষার্থীর মধ্যে সীমিত থাকবে না। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যাওয়া অভিভাবকদের ক্ষেত্রেও কিছু নির্দেশনা রয়েছে।

শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশ জানিয়েছে এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষা চলাকালে পরীক্ষার্থী ও কেন্দ্রের কর্মী ছাড়া অন্য কেউ পরীক্ষা কেন্দ্রের ২০০ গজের ভেতরে প্রবেশে করতে পারবে না।

ঢাকার উত্তর শাহজাহানপুরে থাকেন লাকি রসিদ। তার মেয়ে এসএসসি পরীক্ষা দেবেন। লাকি রসিদ বলছেন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য তিনি মেয়েকে কেন্দ্রে পৌঁছে দিয়ে বাসায় চলে আসবেন।

তিনি বলেন, “আসলে আমরা অভিভাবকরাই সেখানে বেশি ভিড় করি। আমি ৫/৭ মিনিট পর চলে আসবো। আবার পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগে যেয়ে মেয়েকে নিয়ে আসবো।”

গত সেপ্টেম্বর মাসে স্কুল-কলেজে সরাসরি ক্লাস শুরু হওয়ার পর এমন সময়ে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে যখন দেশে করোনাভাইরাসে দৈনিক শনাক্তের হার দেড় শতাংশের নিচে নেমে এসেছে।

সংক্রমণও অনেক নিম্নমুখী। তবে এমন পরিস্থিতিতেও শিক্ষার্থীরা যাতে কোনোভাবে সংক্রমিত না হয় সেজন্য কেন্দ্র প্রস্তুত করার কথা বলছে ঢাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো।

ঢাকার মতিঝিল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা শিরিন শারমিন বলছেন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে-কার্যক্রম ঠিক করতে আজকেও তারা বৈঠক করছেন।

মহামারী পরিস্থিতির কারণে এবার সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে কেবল তিনটি ঐচ্ছিক বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া হবে।

পরীক্ষার সময় কমিয়ে আনা হয়েছে দেড় ঘণ্টায়। বাংলা, ইংরেজির মত আবশ্যিক বিষয়গুলোতে এবার পরীক্ষা না নিয়ে আগের পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হবে।

এসএইচ-২২/১৩/২১ (শিক্ষা ডেস্ক)