চলতি বছর শিক্ষার্থীদের দেওয়া বিনামূল্যের বইয়ের বেশিরভাগের অবস্থা খুবই খারাপ। নিম্নমানের কাগজ দিয়ে ছাপানোর কারণে বই ছিঁড়ে যাচ্ছে। ফলে বিপাকে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। তবে নিম্নমানের কাগজে বই ছাপানো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে তেমন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি পাঠ্যপুস্তক বোর্ড।
এবছর নির্দিষ্ট সময়ে শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যের সব বই তুলে দেয়া সম্ভব হয়নি। বই দিতে সময় লেগেছে এপ্রিল পর্যন্ত। সরবরাহ করা বেশিরভাগ বইয়েরই মান খারাপ। রাজধানীর একটি স্কুলে গিয়ে দেখা যায়, বই নষ্ট হওয়ায় বিপাকে পড়েছে শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, বই পাওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই তা ছিঁড়ে যাচ্ছে। বাঁধাই খারাপ হাওয়ায় নতুন করে সেলাই করলেও তা থাকছে না।
নীলক্ষেত হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুরমান আলী বলেন, বই যদি হাতে নিলেই খুলে যায় তাহলেতো সমস্যা। এসব বই নিয়ে নিয়মিত সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। অতিরিক্ত বইও নেই যে তা শিক্ষার্থীদের দেব।
মুদ্রণ মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি তোফায়েল খান বলেন, গত বছর নিম্নমানের কাগজে বই ছাপানোদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। যার কারণে এই অবস্থা হচ্ছে। এবারও বাজারদরের থেকে কম টাকায় কাজ নিয়েছে অনেকে। তাই আগামী বছরও নিম্নমানের বই পাবে শিক্ষার্থীরা। এনসিটিবি যদি চায় তাহলে নিম্নমানের কাগজ ঠেকানো কোন সমস্যা না।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম বলেন, আমরা নজরদারির মধ্যে রেখেছি। আমরা মনিটরিং প্রতিষ্ঠানগুলোকে বলেছি, নিম্নমানের কাগজ কেউ দিলে সেই দায় তাদেরকে নিতে হবে।
এবার নিম্নমানের কাগজ নিয়ে কঠোর নজরদারি থাকবে বলেও জানান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম।
আগামী বছরের জন্য ৩৫ কোটির মতো নতুন বই ছাপাবে সরকার।
এসএইচ-০৯/১৮/২৩ (শিক্ষা ডেস্ক, সূত্র : ইনডিপেনডেন্ট)