গুরুতর অসুস্থ অভিনেতা টেলি সামাদ

গুরুতর অসুস্থ অভিনেতা

জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা টেলি সামাদ গুরুতর অসুস্থ হয়ে রাজধানীর রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আজ সোমবার (১০ ডিসেম্বর) টেলি সামাদের মেয়ে সোহেলা সামাদ কাকলী বার্তা সংস্থা ইউএনবিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সোহেলা সামাদ কাকলী জানান, বেশ কয়েক দিন ধরেই খাবারের প্রতি অনীহা দেখা দেয় তাঁর বাবার। এতে তিনি ধীরে ধীরে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ অবস্থায় গত মঙ্গলবার তাঁকে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

চিকিৎসকরা তাঁর সুস্থতার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন উল্লেখ করে কাকলী জানান, তাঁর (টেলি সামাদের) বুকে ইনফেকশন আছে। এ ছাড়া রক্তের প্লাটিলেট কমে যাচ্ছে। টেলি সামাদের সুস্থতার জন্য তিনি দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা করেন।

কাকলী আরো জানান, শুক্রবার তাঁর বাবাকে নিবিড় পরিচর্যায় নেওয়া হয়। এরইমধ্যে তাঁর শরীরে তিন ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়েছে। ডায়াবেটিস ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. প্রতীক দেওয়ানের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন টেলি সামাদ।

গত সপ্তাহের মঙ্গলবার (৪ ডিসেম্বর) অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে অবস্থার অবনতি ঘটলে শুক্রবার এইচডিইউতে (হাই ডিফেন্সি ইউনিট) নিবিড় পরিচচর্যায় রাখা হয়েছে। ইতিমধ্যে তার শরীরে তিন ব্যাগ রক্ত দেওয়া হয়েছে। ডায়াবেটিস ও মেডিসিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. প্রতীক দেওয়ানের তত্বাবধানে চিকিৎসাধীন। আরও কয়েকজন বিশেষজ্ঞ তার চিকিৎসায় সহায়তা করার কথা রয়েছে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের অত্যন্ত শক্তিশালী ও জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা টেলি সামাদের জন্ম ২০ ডিসেম্বর মুন্সীগঞ্জ শহরের পাশের নয়াগাঁও গ্রামে। সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে বেড়ে ওঠা টেলি সামাদের বড়ভাই বিখ্যাত চারুশিল্পী আব্দুল হাইয়ের পদাঙ্ক অনুসরণ করে পড়াশোনা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায়। সংগীতেও রয়েছে এই গুণী অভিনেতার পারদর্শিতা। ‘মনা পাগলা’ ছবির সংগীত পরিচালনা করেছেন তিনি। ১৯৭৩ সালে ‘কার বউ’ দিয়ে তার চলচ্চিত্রে পা রাখা। চার দশকে ৬০০ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।

টেলি সামাদকে এর আগে ২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে বাইপাস সার্জারি করা হয়। এর পর ২০১৭ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর তিনি কিছুটা সুস্থ হয়ে দেশে ফেরেন। দেশে আসার পর অক্টোবরে ও নভেম্বরে দুই দফা এই স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল টেলি সামাদকে। গত বছরের ২০ অক্টোবর জরুরি অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল তার বাঁ পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টেলি সমাদের পাশে দাড়িয়েছিলেন বলে এখনও তার পরিবার গভীরভাবে স্মরণ করে। এরপর তিনি সুস্থ হয়ে উঠেন।

আরএম-০৩/১১/১২ (বিনোদন ডেস্ক)