একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ (নন্দীগ্রাম-কাহালু) আসনে আলোচিত সংসদ সদস্য প্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম বার্ষিক আড়াই লাখ টাকা আয় করলেও নির্বাচন করার মতো তার কোনো অর্থ নেই। এ জন্য তিনি শ্বশুর, ফুফা ও ভগ্নিপতির দানের টাকায় নির্বাচন করবেন। রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে দাখিল করা হলফনামা থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
এদিকে গতকাল পর্র্যন্ত তিনি কোনো প্রতীক বরাদ্দ পাননি। উচ্চ আদালতের আদেশে প্রার্থিতা ফিরে পেলেও তার পছন্দের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। এ কারণে তিনি এখন পর্যন্ত ছাপাতে পারেননি কোনো পোস্টার-লিফলেট। তবে রিটার্নিং কর্মকর্তা ফোনে তার পছন্দের প্রতীক সিংহ নিয়ে প্রচার শুরুর মৌখিক অনুমতি দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, হিরো আলম জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন চেয়ে না পেয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে। হলফনামায় তিনি নিজেকে স্বশিক্ষিত বলে উল্লেখ করেছেন। পেশা হিসেবে লিখেছেন অভিনয়। অভিনয় ও কৃষি খাত থেকে তার বার্ষিক আয় ২ লাখ ৫৮ হাজার টাকা।
অস্থাবর সম্পদের মধ্যে তার নগদ কোনো টাকা নেই। ব্যাংকে আছে মাত্র এক হাজার টাকা। এ ছাড়া ৮৭ হাজার টাকা মূল্যের একটি মোটরসাইকেল, এক লাখ টাকা মূল্যের ফ্রিজ, টিভি, ফ্যান, মোবাইল, দেড় লাখ টাকার আসবাবপত্র, স্ত্রীর নামে রয়েছে মাত্র ২০ হাজার টাকা মূল্যের এক ভরি স্বর্ণালঙ্কার। স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে ২ লাখ ১০ হাজার টাকার মূল্যের ২১ শতক কৃষি জমি।
হিরো আলম নির্বাচনে ব্যয় করবেন ৫ লাখ টাকা। এর মধ্যে তার শ^শুর খোকন দান হিসেবে দেবেন ১ লাখ টাকা, ফুফা আবদুর রাজ্জাক পাইকার দেবেন ২ লাখ টাকা এবং ভগ্নিপতি মো. হিরু প্রামাণিক দেবেন ২ লাখ টাকা।
হিরো আলম জানান, গতকাল বিকাল পর্যন্ত প্রতীক বরাদ্দ না পেলেও গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন। গতকাল নন্দীগ্রামের ওমরপুর রণবাঘা, কুন্দার হাট এলাকায় গণসংযোগ করেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, এ আসনে বর্তমানে হিরো আলমের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা হলেন মহাজোট মনোনীত একেএম রেজাউল করিম তানসেন (নৌকা), বিএনপির মোশারফ হোসেন (ধানের শীষ), ইসলামী আন্দোলনের মোহাম্মদ ইদ্রিস আলী (হাত পাখা), তরিকত ফেডারেশনের কাজী এমএ কাশেম (ফুলের মালা), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আয়ুব আলী (আম) ও বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের জীবন রহমান (টেলিভিশন)।
আরএম-০১/১৫/১২ (বিনোদন ডেস্ক)