ময়ূরী বাংলাদেশী চলচ্চিত্রে এক বিতর্কিত না। অশ্লীল বা অর্ধনগ্ন পোষাকে অভিনয় করার জন্য তিনি সমালোচিত হয়েছেন বারবার। ২০০৭ সালের পর থেকে বাংলা চলচ্চিত্রে তার উপস্থিতি একে বারেই কমে যায়। কিছুদিন ব্যস্ত ছিলেন যাত্রা নিয়ে। এরপর তৃতীয় বিয়ে করে সব কিছু থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন তিনি।
সময়টা ২০০৯ সাল। ময়ূরী বিয়ে করেন রেজাউল করিম মিলন একজনকে। তিনি টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। সেই সংসারে তাদের একটি কন্যা সন্তান আছে। তার নাম অ্যাঞ্জেল।
কিন্তু ২০১৫ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর মিলন মারা যান। এরপর তিনি আবার শ্রাবণ শাহ নামক একজন অভিনেতাকে বিয়ে করেন। কিন্তু সেই বিয়েও বেশী দিন টিকেনি। কিছুদিনের মধ্যে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে যায়।
ময়ূরী প্রায় ৩০০টি বাংলা চলচ্চিতে অভিনয় করেছেন। চলচ্চিত্রে অভিনয়ের সময় তিনি মগবাজারে একটি ফ্ল্যাট কিনেছিলেন ময়ূরী। দ্বিতীয় স্বামীর সাথে বিচ্ছেদের পর তিনি বিয়ে করেন গাজীপুরের একটি মাদ্রাসার শিক্ষককে। তৃতীয় বিয়ের পর মাগবাজারের ফ্ল্যাট বিক্রি করে চলে যান টঙ্গীতে।
বেশ অনেক দিন ধরেই পর্দার আড়ালে আছেন ময়ূরী। তার ব্যবহৃত ফোন নাম্বারটিও এখন বন্ধ আছে। তবে চলচ্চিত্রে সংশ্লিষ্ট কয়েক জনের মাধ্যমে জানা গেছে তৃতীয় বিয়ের পর থেকে ময়ূরী ধর্মপালনে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। তার স্বামী মাদ্রাসার শিক্ষক এবং তাবলীগ জামাতের সদস্য।
মূলত তার মাধ্যমেই ময়ূরী ইসলাম পালন করতে শুরু করেন। তিনি এখন হিজাব পরিধান করে তাবলীগ জামাতের মাধ্যমে সারাদেশে ইসলাম প্রচার করে বেড়ান। পাশাপাশি তিনি সপ্তাহে পাঁচ দিন রোজা রাখেন।
ময়ূরীর প্রকৃত নাম মুনমুন আক্তার লিজা। ক্লাস নাইনে পড়ার সময় তিনি চলচ্চিত্রের সাথে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৯৮ সালে ‘মৃত্যুর মুখে’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করার মধ্যে দিয়ে হাতেখড়ি হয় ময়ূরীর। মাহমুদ নামক একজন প্রযোজকের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে এসেছিলেন তিনি।
চলচ্চিত্রের পরিচালক ছিলেন কবি আবুল হাসানের ছোট ভাই আবিদ হাসান। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চলচ্চিত্রটিতে ময়ূরী ছিলেন না। নার্গিস আক্তারের পরিচালনায় ‘চার সতীনের ঘর’ চলচ্চিত্রে বিখ্যাত অভিনেতা আলমগীরের স্ত্রী’র ভূমিকায় অভিনয় করে অনেক খ্যাতি অর্জন করেন।
আরএম-০৭/০৫/০২ (বিনোদন ডেস্ক)