বলিউডে কাজ নয় পাকিস্তানি শিল্পীদের

শেষমেশ পাকিস্তানি শিল্পীদের উপর নিষেধাজ্ঞাই জারি হয়ে গেল ভারতে। পুলওয়ামা হামলার পর অল ইন্ডিয়া সিনে ওয়ার্কার্স অ্যাসোসিয়েশন (AICWA) পাকিস্তানি শিল্পী ও টেকনিশিয়ানের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। সংস্থার তরফ থেকে জারি করা একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পুলওয়ামায় শহিদদের প্রতি সমবেদনা রয়েছে সংস্থার প্রতিটি সদস্যের।

জঘন্য হামলার নিন্দায় মুখর তাঁরা। তাই পাকিস্তানি শিল্পীদের উপর এই নিষেধাজ্ঞা জারি। বিবৃতিতে এও বলা হয়েছে, এরপরও যদি কেউ পাকিস্তানি শিল্পীদের কাজে নেয়, তবে নিষেধাজ্ঞা জারি হবে তাঁদের উপরেও। সংস্থার মতে, সবার আগে দেশ। আর পুলওয়ামায় জঙ্গিহানার পর স্বাভাবিকভাবেই AICWA ভারতের পাশেই থাকবে।

তবে শুধু AICWA নয়, অনেক সংস্থাই পাকিস্তানি শিল্পীদের ভারতে কাজ করতে না দেওয়ার পক্ষে। শিবসেনার তরফেও পাকিস্তানি শিল্পীদের নিষেধাজ্ঞা করার দাবি ওঠে।

টি-সিরিজ, সোনি মিউজিক, ভেনাস ও টিপস মিউজিককে তারা নির্দেশ দেয় যেন পাকিস্তানি শিল্পীদের কাজ তারা সোশ্যাল প্লাটফর্ম থেকে গুটিয়ে নেয়। এই হুমকি পাওয়ার পর টি-সিরিজ সমস্ত পাকিস্তানি শিল্পীদের গাওয়া গান ইউটিউব থেকে সরিয়ে নেয়।

ইন্ডিয়ান ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ডিরেকটরস অ্যাসোসিয়েশনের (IFTDA) প্রেসিডেন্ট অশোক পণ্ডিত বলেন, “আমাদের ওদেশে ছবি রিলিজ করানোই উচিত নয়। যদি ভারত পাকিস্তান থেকে আয় করতে শুরু করে তাহলে ওরা আমাদের শত্রুই মনে করবে। শুধু ছবি নয়, পাকিস্তানের সঙ্গে যে কোনও বাণিজ্যই বন্ধ করে দেওয়া দরকার।”

ট্রে়ড অ্যানালিস্ট অতুল মোহন জানিয়েছেন, যখন একটি ফিল্মের ডিস্ট্রিবিউশন পায় পাকিস্তান, তারা ওই ছবি থেকে অনেক টাকা ঘরে তোলে। এটা একেবারেই হতে দেওয়া যায় না। ইন্ডিয়ান মোশন পিকচার্স প্রোডিউসরস অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, এই নিষেধাজ্ঞা দু-চার দিনের জন্য নয়, যতদিন সম্ভব কার্যকর রাখা উচিত।

‘সিমরন’ ও ‘এম এস ধোনি’ ছবির নির্মাতা অমিত আগারওয়াল বলেন, “আমার সম্পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। কারণ দেশের থেকে বড় আমার কাছে আর কিছু নয়।” করাচি সফর বাতিল করে দিয়েছেন জাভেদ আখতার ও শাবানা আজমি। অভিনেত্রী শাবানা আজমি জানিয়েছেন, “ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংস্কৃতির আদান-প্রদান বন্ধ হওয়া দরকার। যখন আমাদের জওয়ানরা শহিদ হয়ে যাচ্ছেন, তখন এসবের কোনও দরকার নেই।”

এসএইচ-১৭/১৮/১৯ (বিনোদন ডেস্ক, তথ্য সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন)