দীর্ঘদিন পর আবার বড়পর্দায় দেখা দেবেন মিঠুন চক্রবর্তী। তিনি একা নন, তাঁর সঙ্গে আছেন নাসিরুদ্দিন শাহও। বিবেক অগ্নিহোত্রীর পরিচালনায় এই ছবির নাম ‘দ্য তাসখন্দ ফাইলস’।
ছবির নাম থেকেই পরিষ্কার, এই ছবি ফের উসকে দেবে পুরনো বিতর্ককে। কারণ এই ছবিতে আনা হয়েছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রীর মৃত্যু প্রসঙ্গ। ১৯৬৬ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর যে তাসখন্দ চুক্তি সাক্ষরিত হয়, তার পরেই ১১ জানুয়ারি তাসখন্দেই লালবাহাদুর শাস্ত্রীর প্রয়াণ ঘটে। সরকারিভাবে জানানো হয়েছিল হৃরোগে আক্রান্ত হয়েই তাঁর মৃত্যু হয়।
তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রী ও পাকিস্তান প্রেসিডেন্ট আয়ুব খানের মধ্যে সাক্ষরিত হয় এই যুদ্ধবিরতী চুক্তি। মধ্যস্থতায় ছিল জাতিসঙ্ঘ। এই চুক্তি সাক্ষরিত হওয়ার পরদিনই হঠাৎ মৃত্যু হয় লালবাহাদুর শাস্ত্রীর। সেই সময়ে তাঁর মৃতদেহের ময়না তদন্তও হয়েনি।
পরে লালবাহাদুর শাস্ত্রীর ছেলে সুনীল শাস্ত্রী অভিযোগ করেন তিনি তাঁর বাবার শরীরের বিভিন্ন অংশে নীলচে দাগ দেখেছিলেন। তাঁর বয়ান অনুযায়ী শরীরের নীচের অংশে কাটা দাগও দেখেন তিনি। তবে সেই সময়ে এই বিতর্ক বিস্তারিত হওয়ার সুযোগ পায়নি। এবার সেই বিতর্ককে উসকে দিয়েই লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগেই মুক্তি পেতে চলেছে এই ছবি।
এখন তো দেশময় রাজনৈতিক সিনেমার ঝড় বইছে। কিছুদিন আগেই মুক্তি পেয়েছে ‘দ্য অ্যাক্সিডেন্টাল প্রাইম মিনিস্টার’ আর ‘ঠাকরে’। মুক্তি প্রতীক্ষায় ‘প্রাইম মিনিস্টার নরেন্দ্র মোদি’। এই অবস্থায় এরকম একটা ছবির মুক্তি স্বাভাবিকভাবেই বেশ বিতর্কের সৃষ্টি করেছে।
ছবির অন্যতম মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন মিঠুন চক্রবর্তী। তাঁর অভিনীত চরিত্রের নাম শ্যামসুন্দর ত্রিপাঠী। এই বছরের জানুয়ারিতে শুটিং শুরু হয় এই ছবির। আর নাসিরুদ্দিন শাহ অভিনয় করেছেন পি কে আর নটরাজনের ভূমিকায়। এঁরা ছাড়াও আছেন শ্বেতা বসু প্রসাদ, মন্দিরা বেদি, পল্লবী যোশী, রাজেশ শর্মা প্রমুখ। রাজেশ শর্মা এই ছবিতে অভিনয় করেছেন ওমকার কাশ্যপের ভূমিকায়।
এসএইচ-১২/৩০/১৯ (বিনোদন ডেস্ক)