আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা নিয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নেয়া পপ গানের সম্রাট মাইকেল জ্যাকসনের সাবেক একজন দেহরক্ষী অঙ্গীকার করেছেন, তার সাবেক মনিবের ওপর শিশু যৌন নিপীড়নের যে অভিযোগ উঠেছে, সে ব্যাপারে প্রকৃত সত্য তুলে ধরবেন তিনি।
জ্যাকসনের দেহরক্ষী ম্যাট ফিডেসের দাবি, ১০ বছর ধরে জ্যাকসনের ব্যক্তিগত সময় কাটানোর স্থানগুলোতে তিনি ছিলেন। সবখানে অবাধে যাতায়াতের অনুমতিও ছিল তার। সে কারণে তিনিই বলতে পারবেন, আসলে কী ঘটেছে সেখানে।
মাইকেল জ্যাকসন জীবিত থাকা পর্যন্ত ফিডেস তার সঙ্গে ছিলেন। টানা ১০ বছর তিনি জ্যাকসনের পাশে ছিলেন। রহস্যময় এই সঙ্গীতজ্ঞকে তিনি আগলে রেখেছেন এই সময়ে।
প্রয়াত এই তারকার বিরুদ্ধে দুই ব্যক্তি শিশু বয়সে যৌন নিপীড়নের শিকার হওয়ার অভিযোগ করেছেন। তারা হলেন ওয়েড রবসন (৩৬) ও জেমস সেফচাক (৪০)। বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তারা বলেন, ৭ ও ১০ বছর বয়স থেকে মাইকেল জ্যাকসন তাদের শতাধিকবার যৌন নিপীড়ন করেছেন।
এদিকে, প্রামাণ্যচিত্রধর্মী এক সাক্ষাৎকারে ওয়াড রবসন এবং জেমস সেফচাকের আলোচনায় উঠে আসে প্রয়াত এই গায়কের বিরুদ্ধে শিশু যৌন হয়রানির অভিযোগ। তাদের দাবি, ১৯৮০ সালে তাদের শিশু অবস্থায় যৌন নিপীড়ন করেছে জ্যাকসন। যদিও ওই দুই বালককে যৌন হয়রানির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে জ্যাকসনের পরিবার। সেইসঙ্গে প্রামাণ্যচিত্রটির প্রদর্শন বন্ধেরও আবেদন করেছে।
ব্রিটিশ নাগরিক ফিডেস ইনস্টাগ্রামে এক পোস্টে লিখেছেন, এখন সময় এসেছে আমার বন্ধুর জন্য লড়ার। যিনি সবসময় আমার ও আমার পরিবারের ভালো চেয়েছেন। তিনি আরও লিখেছেন, কয়েক বছর ধরে এ ধরনের সার্কাস দেখছি। মানুষ ভুলে গেছে যে, তিনি এখনো সারাবিশ্বে সমান জনপ্রিয়। সারাবিশ্বেই বড় ধরনের চাহিদা রয়েছে তার। তার জীবনটাই একটা রহস্য।
এদিকে, মাইকেল জ্যাকসনের ভাই টিটো, মারলন, জ্যাকি এবং ভাতিজা তাজ জ্যাকসন তথ্যচিত্রের দাবি অস্বীকার করেছেন। তারা বলেছেন, মাইকেল জ্যাকসনের আচরণ মাঝেমধ্যে অভদ্র মনে হলেও তিনি আসলে ‘খুবই নিষ্পাপ’ ছিলেন। তার সারল্যই তার দুর্বলতা ছিল। যারা তার বিরুদ্ধে শিশু যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তুলেছেন তাদের হাতে দাবির পক্ষে ‘একটি প্রমাণও নেই’।
এসএইচ-০৯/২৫/১৯ (বিনোদন ডেস্ক)