বলিউডের প্রেমের গল্প মানেই মানুষের একরাশ উৎসাহ ও কৌতূহলের বিষয়। বিশেষ করে অসমবয়সী প্রেম, বিবাহবিচ্ছেদের পরে প্রেম ও ইত্যাদি। সম্প্রতি তারকা দম্পতি সাইফ আলি খান ও কারিনা কাপুর সকলকে জানিয়েছেন, কীভাবে নিজের থেকে ১০ বছরের বড় সাইফের প্রেমে পড়েছিলেন কারিনা।
হিউম্যানস অফ বোম্বের জন্য লেখা একটি পোস্টে কারিনা তার জীবনের দুটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক, প্রেম এবং মাতৃত্ব সম্পর্কে অকপট কথা বলেছেন।
৩৮ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী নিজের ব্যক্তিগত জীবনের চেনা অচেনা নানা দিক তুলে ধরেছেন। কারিনা জানিয়েছেন, ২০০৮ সালে তাশান চলচ্চিত্রের শ্যুটিংয়ের সময় সাইফ আলি খানের প্রেমে পড়েন তিনি।
করিনা পোস্টে লিখেন, যেভাবেই হোক না কেন, আমার সারা জীবনের মধ্যে এমন মানুষের আমি আশীর্বাদ পেয়েছি যারা আমাকে পুরোপুরি সমর্থন করেছেন! আমি যখন পড়ে যাচ্ছি সাইফই আমাকে তুলে ধরলেন। আমার সঙ্গে তো তার আগেও দেখা হয়েছে, কিন্তু যখন আমরা তাশানের শ্যুটিং করছি, তখন সেই পরিচয় কিছুটা বদলে গেল। আমি ভালোবেসে ফেললাম! ও দারুণ একজন মানুষ; প্রেমে না পড়ে উপায় ছিল না।
সাইফের সঙ্গে চলচ্চিত্রের সেটে কাটানো সময়ের কথা স্মরণ করছিলেন অভিনেত্রী। জানিয়েছেন, বাইক চালিয়ে দূরে ঘুরতে যাওয়া আর দুর্দান্ত আড্ডা মারতে মারতেই তাদের সম্পর্ক গভীর হয়।
করিনা লিখেন, আমার মনে আছে লাদাখ এবং জয়সলমেরে শ্যুটিং করার সময় আমরা একটু আলাদা করে সময় কাটাতে বাইকে করে দূরে ঘুরতে যেতাম। আমরা প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আড্ডা মারতাম।
কারিনা স্পষ্ট জানিয়েছেন, সাইফের বেশি বয়স নিয়ে একেবারেই চিন্তিত নন তিনি। কারিনার জন্য সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল সাইফ তার এমন একজন সঙ্গী যিনি তাকে ভালো করে তুলেছিলেন, তাকে ভালোবেসেছেন, যেকোনও প্রতিকূলতায়, যেকোনও সমস্যায় ছায়ার মতো দাঁড়িয়েছিলেন।
কারিনা বলেন, সাইফ আমার চেয়ে ১০ বছরের বড় এবং তৈমুর ছাড়াও তার ২ জন সন্তান রয়েছে। তবে আমার জন্য সাইফ এমন একজন মানুষ, যিনি আমাকে ভালো করে তুলতে ও ভালোবাসতে সাহায্য করেছিলেন। সম্ভবত এই কারণেই আমরা অনেকটা আলাদা, সাইফ খুব ব্যক্তিগত এবং বলিউডে মিশে থাকা মানুষ নন। আমি ওর কাছ থেকে কীভাবে ভারসাম্য রেখে চলতে হয় তা শিখেছি।
নিজের পোস্টে, কারিনা আরও জানিয়েছেন কীভাবে মাতৃত্বের পরে জীবন বদলেছে তার। দুই বছর বয়সী তৈমুরের মা কারিনা বলেন, বিয়ের কয়েক বছর পর আমাদের ছেলে তৈমুর জন্মায়। মাতৃত্ব আমার জীবনের সবচেয়ে বড় বিষয়। তৈমুর আমার এমন এক অংশ যাকে ছাড়া আমি একটা ঘণ্টাও কাটাতে পারব না। আমি যেখানেই থাকি ও সবসময় আমার সাথে থাকে। ও চায় প্রতিদিন আমি কঠোর পরিশ্রম করি।
কারিনা কাপুর তার পেশাগত ও ব্যক্তিগত জীবনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সমানভাবে পারদর্শী। তিনি বলেন, আমি আমার জীবনের এমন পর্যায়ে রয়েছি যেখানে আমাকে কেরিয়ার এবং পরিবারের মধ্যে নির্বাচন করতে হবে না। আমি দু’টোই করছি। আমি একজন অভিনেত্রী, কিন্তু সব চড়াই এবং উৎরাইয়ের মাঝে আমি একজন বোন, স্ত্রী, এবং মা’ও। এবং এই কোনও ভূমিকাই আমাকে বাধা দেয়নি। বরং এসবই আমাকে সঠিক পথে রেখেছে। আমার স্বপ্ন বড় হয়েছে, অনেককিছু অর্জন করার রয়েছে। একজন অভিনেত্রী হিসেবে, এবং একজন নারী হিসাবে।
কারিনা কাপুরকে ভিরে দি ওয়েডিং সিনেমায় শেষ দেখা গিয়েছে সোনম কাপুর, শিখা তালসানিয়া এবং স্বরা ভাস্করের সঙ্গে। অক্ষয় কুমার, কিয়ারা আদভানি ও দিলজিৎ দোসাঞ্জের সঙ্গে তাকে আগামীতে ‘গুড নিউজ’ সিনেমায় দেখা যাবে।
এসএইচ-২৩/২৫/১৯ (বিনোদন ডেস্ক)