মোদিকে কি বললেন টুইঙ্কেল খান্না

বলিউড এবং বলিউডের বাইরে টুইঙ্কেল খান্নার একটা বিশেষ পরিচিতি আছে টুইটারে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক ইস্যুতে শক্তিশালী মন্তব্য করার জন্য। সেসব লেখা চোখ এড়ায়নি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরও। সেসব মন্তব্য পড়ে নরেন্দ্র মোদির মনে হয়েছে, টুইঙ্কেল খান্নার বোধ হয় তার ওপর রাগ আছে। সে সবের বহিঃপ্রকাশ ঘটান এসব লেখায়!

এদিকে, মথুরার বিজেপি প্রার্থী হেমা মালিনীকে পাখাযুক্ত ট্রাক্টর চালানোর ছবি ভাইরাল হতেই নজর এড়ায়নি অভিনেত্রী তথা লেখিকা টুইঙ্কেল খান্নার। এবার ফের তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় হাজির তার কড়া কথা নিয়ে। এবার রোশে পড়েন ‘মোদি’!

সম্প্রতি, অক্ষয় কুমার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদির। রাজনৈতিক ময়দান থেকে সরে গিয়ে সেই সাক্ষাৎকারে উঠে এসেছিল মোদির জীবনের অনেক অজানা কথা। দিদি-মোদি-মিষ্টি-কুর্তা-পাজামা থেকে ওবামা… তবে, এই লোকসভা ভোটের মাঝেই সেই সাক্ষাৎকারের কথোপকথন নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া উত্তালও কম হয়নি। প্রসঙ্গত, সেই সাক্ষাৎকারেই মোদি অক্ষয়-পত্নী টুইঙ্কেল সম্পর্কে মন্তব্য করেন।

সেদিন মোদি মজা করে অক্ষয়কে বলেছিলেন, আপনার স্ত্রী কিন্তু আমার উপর বেশ রেগে যান। তা ভালো। এর জন্য আপনার পারিবারিক জীবন নিশ্চয় শান্তিপূর্ণ! কারণ, টুইঙ্কেল তো তার সমস্ত রাগ আমার উপরই উগরে দেন টুইটারে!

পাশাপাশি, মোদি জানান, তিনি নিয়মিত সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ রাখেন, রাজনীতির বাইরেও কী কী হচ্ছে সে দিকটা নজর রাখার জন্য। স্বাভাবিকভাবেই অক্ষয় এবং টুইঙ্কেলের টুইটও পড়েন তিনি। মোদির এমন বক্তব্যেই অভিনেত্রী তথা লেখিকা টুইঙ্কেল একটি ফলোআপ টুইট নিয়ে হাজির হন তার সোশ্যাল মিডিয়ায়।

তিনি হালকা চালে মোদিকে বিঁধে বলেন, আমি বরং এই বিষয়টিকে খুব ইতিবাচকভাবেই নিচ্ছি। তার মানে তিনি শুধু আমাকে অনুসরণই করেন না, আমার লেখাও পড়েন।

টুইঙ্কলের এই টুইটের পরই জল্পনা উঠেছিল তিনি নাকি রাজনীতির ময়দানে নামছেন। মূলত, গেরুয়া শিবিরে যোগ দেয়ার কথা শোনা গিয়েছিল। কিন্তু সব জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে শুক্রবার অভিনেত্রী-লেখিকা টুইট করেন, একটু বেশিও না, একটু কমও না। সব সময়ে সব প্রতিক্রিয়ার অনুমোদনের দরকার হয় না। এই মূহূর্তে আমি প্রচুর পরিমাণে ভডকা শটস্ নিচ্ছি। যাতে, পরের দিন অবধি হ্যাংওভার থাকে। অতএব কোনও রাজনৈতিক দল যে তিনি সমর্থন করছেন না, তা পরিষ্কার করে দিয়েছেন টুইঙ্কেল খান্না।

এসএইচ-২৫/২৭/১৯ (বিনোদন ডেস্ক)