চির বিদায় জানানো হলো সদ্য প্রয়াত কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী সুবীর নন্দীকে। বুধবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে ঢাকার রাজারবাগের কালিবাড়িতে শ্রী-শ্রী বরদেশ্বরী মহা শ্বশানে শিল্পীর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। এ সময় সেখানে সুবীর নন্দীর পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কণ্ঠশিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ ও এন্ড্রু কিশোরসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বুধবার সকাল ৬টা ২০ মিনিটে রিজেন্ট এয়ারওয়েজের একটি বিমানে করে প্রখ্যাত এ শিল্পী মরদেহ ঢাকায় আনা হয়। এরপর সেটি নেয়া হয় গায়কের দীর্ঘ দিনের আবাসস্থল গ্রিন রোডের গ্রিন ভিউ অ্যাপার্টমেন্টে। সেখান থেকে ১০টা ৪০ মিনিটের দিকে মরদেহ নেয়া হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সেখানে সর্বস্তরের মানুষ তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান।
এরপর দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে সুবীর নন্দীর মরদেহ শেষবারের মতো নেয়া হয় এফডিসিতে। সেখানে শিল্পীকে শেষ শ্রদ্ধা জানান পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম খোকন, বাংলাদেশ শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান, অভিনেতা আলমগীর, ওমর সানি, জয় চৌধুরী, অরুণা বিশ্বাস, ড্যানি সিডাক সহ অনেকে।
গত ৩০ এপ্রিল থেকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন সুবীর নন্দী। মারা যান মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে। বহুদিন ধরে তিনি দীর্ঘমেয়াদী কিডনি রোগে ভুগছিলেন। এ জন্য নিয়মিত ডায়ালাইসিস নিচ্ছিলেন। গত ২২ দিনে তিনি তিনবার হার্ট অ্যাটাক করেন।
সুবীর নন্দীর প্রথম হার্ট অ্যাটাক হয় গত ১৪ এপ্রিল ঢাকার সিএমএইচে ভর্তির দিনে। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য শিল্পীকে সিঙ্গাপুরের জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে গত শনি ও রবিবার দুইদিন তার হার্ট অ্যাটাক হয়। এর পরের দিন পেরিয়ে মঙ্গলবার ভোরে তিনি মারা যান।
গত ১৪ এপ্রিল সিলেটে এক আত্মীয় বাড়িতে অনুষ্ঠান শেষ করে ট্রেনযোগে ঢাকায় ফেরার পথে অসুস্থ হয়ে পড়েন পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া এ শিল্পী। ঢাকার বিমানবন্দর স্টেশনে নামিয়ে তাকে সিএমএইচে নেয়া হয়। সেখানে ভর্তির কিছুক্ষণ পরে তার হার্ট অ্যাটাক হয়। এরপর দ্রুত তাকে লাইফ সাপোর্টে নেন চিকিৎসকরা।
সিএমএইচে ১৬ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় উন্নত চিকিৎসার জন্য সুবীর নন্দীকে ৩০ এপ্রিল নেয়া হয় সিঙ্গাপুরের জেনারেল হাসপাতালে। ওইদিনই তার চিকিৎসা শুরু হয়। কিন্তু উন্নত দেশের উন্নত চিকিৎসায়ও ফেরানো গেল না তাকে। চলে গেলেন না ফেরার দেশে।
এসএইচ-১১/০৮/১৯ (বিনোদন ডেস্ক)