অনুতপ্ত মিয়া খলিফা

অনুতপ্ত মিয়া

চোখে চশমা। মুখে সারল্য থাকলেও গোটা দুনিয়ায় তাঁর পরিচিতি নীল ছবির তারকা হিসেবেই। এ পেশা ছাড়ার পরও বিশ্বজুড়ে ব্যাপক জনপ্রিয় মিয়া খলিফা। তাঁর কথায়, মাত্র তিন মাস নীল ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেছেন।

আর এর মধ্য দিয়েই পর্নহাবের শীর্ষ তারকা বনে যান। অল্প বয়সে প্রচুর অর্থ উপার্জন, অজানা রঙিন জগতে হারিয়ে যাওয়ার হাতছানি থেকেই এ পেশায় আসেন মিয়া খলিফা। অবশ্য মোহভঙ্গ হয় মাত্র তিন মাসেই। সম্মান ও সময়ের বিনিময়ে সেভাবে রোজগারও করতে পারেননি মিয়া।

সম্প্রতি ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির ‘হার্ড টক’-এ স্টিফেন সাকুরের সঙ্গে আলাপচারিতায় নিজের অভিজ্ঞতার কথা প্রকাশ করেন মিয়া খলিফা। তিনি জানান, নীল ছবির জগৎ থেকে বেরিয়ে এলেও হারানো সম্মান আর ফিরে পাননি। আজও স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেননি। তাঁকে পরিত্যাগ করেছেন তাঁর মা-বাবা। মিয়া খলিফার ব্যক্তিগত জীবন বলতে কিছু নেই। ‘আজও রাস্তাঘাটে লোকজনের মাঝে নিজেকে নিয়ে ভীষণ হীনমন্যতায় ভুগি,’ বলেন আবেগপ্রবণ মিয়া।

‘আমি শুধু এই দুনিয়া থেকেই বিচ্ছিন্ন হয়ে যাইনি, আমার পরিবার ও চারপাশের মানুষজন আমাকে একঘরে করে দিয়েছিল। বিশেষ করে, যখন আমি ছেড়ে দিলাম, খুব নিঃসঙ্গ হয়ে পড়েছিলাম। আমি বুঝতে পারলাম, কিছু ভুল ক্ষমার অযোগ্য। কিন্তু সময় সবকিছু বদলে দেয়। এখন আমার অবস্থা ভালোর দিকে,’ বলেন মিয়া।

মিয়া জানান, নীল ছবির জগৎ থেকে বের হওয়া সহজ নয়। সেখানে ঢোকার পর একের পর এক চক্রে জড়িয়ে পড়ে অল্পবয়সী মেয়েরা। নারী পাচারকারীদের মাধ্যমেও কীভাবে ছোট ছোট মেয়েরা নীল ছবির ইন্ডাস্ট্রিতে যেতে বাধ্য হয়, সেই বিষয়েও জানিয়েছেন মিয়া।

তিনি বলেন, ‘বহু মেয়ে অপরিণত মনে, ভুল সিদ্ধান্ত ও কিছু খারাপ মানুষের পাল্লায় পড়ে নিজের জীবন নষ্ট করে দিয়েছে। এ ধরনের অনেক মেয়েই মেইল করে সে কথা আমাকে জানিয়েছে।’

নীল ছবির দুনিয়া থেকে বিদায় নেওয়ার পরে মিয়া খলিফা গ্রন্থাগারিক হিসেবে কাজ করা ছাড়াও আরো বিভিন্ন কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখেন। গত বছর প্রেমিক রবার্ট স্যান্ডবার্গের সঙ্গে আংটিবদল করেন মিয়া খলিফা। শিকাগোতে এই লেবানীয়-মার্কিন ক্রীড়া শো সঞ্চালক ও সাবেক পর্নস্টারকে প্রস্তাব দেন সুইডেনের রন্ধনশিল্পী রবার্ট। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বাগদানের খবর জানিয়েছেন দুজনই।

আরএম-০৫/০৭/০৯ (বিনোদন ডেস্ক)