মৌসুমীর পাশে কেন কেউ নেই, মুখ খললেন রুবেল

মৌসুমীর পাশে

আগামী ২৫ অক্টোবর চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বিবার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

এ নির্বাচনে সহসভাপতি পদে দাঁড়িয়েছেন নব্বইয়ের দশকের মার্শাল আর্ট হিরো মাসুম পারভেজ রুবেল।

মিশা সওদাগর-জায়েদ খান প্যানেল থেকে তিনি এ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

তবে এরই মধ্যে নানা বিতর্কে জড়িয়ে গেছে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির এ দ্বিবার্ষিক নির্বাচন।

ইতিমধ্যে নির্বাচন ঘিরে এফডিসিতে দুপক্ষের প্রার্থীদের মধ্যে কাদা ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটে গেছে।

ডিএ তায়েব ও চিত্রনায়িকা মৌসুমীর একই প্যানেলে নির্বাচন করার কথা থাকলেও এখন কেউ পাশে নেই তার। তাই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন মৌসুমী।

এ বিষয়ে রুবেলকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, আমি বেশ কয়েক দিন বাইরে ছিলাম। বিষয়গুলো আমি জানি না।

প্রার্থী মৌসুমীর অভিযোগ, রুবেলের প্যানেলের সদস্যরা তাদের প্যানেলের সদস্যদের ভয়ভীতি ও বাধা পেয়ে এবার কোনো প্যানেল দিতে না পেরে বাধ্য হয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন।

একজন জ্যেষ্ঠ অভিনেতা হয়ে কি তিনি কিছু করতে পারতেন? এমন প্রশ্ন ছোড়া হয় রুবেলকে।

জবাবে মৌসুমীর এসব অভিযোগকে অস্বীকার করে রুবেল পাল্টা প্রশ্ন করেন, মৌসুমীর প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি- যারা নির্বাচনে তাকে নামিয়ে দিয়েছে, তারা কেন আজ তার সঙ্গে নেই? তারাই তো তাকে এই যুদ্ধে নামিয়ে দিয়ে পেছন থেকে কেটে পড়েছে। এটা অবশ্যই খারাপ কাজ করেছে তারা। আমি এখানে কী করতে পারি? রুবেল বলেন, একটি বিশেষ কারণে মৌসুমীর প্যানেলের ডিএ তায়েব দাঁড়াতে পারেনি। তাই বলে পুরো প্যানেলে ২১ জনের মধ্যে একজনকেও পেলেন না মৌসুমী?

ডিএ তায়েব কেন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন প্রশ্নে রুবেল বলেন, এর ভালো উত্তর ভাইয়া (সোহেল রানা) দিতে পারবেন।

তিনি যোগ করেন, ডিএ তায়েব একজন সরকারি কর্মকর্তা। আমি যতদূর জেনেছি ডিএ তায়েবের এ নির্বাচনে দাঁড়ানোর কথা শুনে ভাইয়া এক ইন্টারভিউয়ে বলেছিলেন- তায়েবের নির্বাচনের রাস্তা নেই। সরকারি কোনো কর্মকর্তা এসব নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না বলে নাকি নিয়ম আছে। তাই তিনি নির্বাচন করছেন না হয়তো। ব্যাপারটি নিয়মের সঙ্গে জড়িত। ভয়ভীতি দেখিয়ে মৌসুমীকে একা করে ফেলেছি এমন অভিযোগ এনে শ্রেফ আমাদের কলঙ্কিত করা হচ্ছে।

রুবেল আরও বলেন, মৌসুমী একজন শ্রদ্ধেয় অভিনেত্রী, একজন সুপারস্টার। তিনি বাংলা চলচ্চিত্রের জন্য অনেক কিছু করেছেন। তাকে এভাবে নির্বাচনের মতো যুদ্ধে নামিয়ে দিয়ে যারা পেছন থেকে সরে গেলেন, তারা খুব খারাপ কাজ করেছেন। এটি কোনোভাবেই কাম্য নয়।

প্রসঙ্গত ২৫ অক্টোবর বাংলাদেশ শিল্পী সমিতির ২০১৯-২১ মেয়াদি নির্বাচন। ১ অক্টোবর ২১ পদের বিপরীতে প্যানেলটি ৩০টি মনোনয়ন ফরমও তুলেছিল। কিন্তু পরে দেখা যায়, মৌসুমী-ডিএ তায়েব প্যানেল ভেঙে গেছে। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বাইরে অন্যান্য পদে তারা কোনো প্রার্থী পাচ্ছেন না। প্যানেলের সঙ্গে যারা ছিলেন, মৌসুমী ও ডিএ তায়েবকে যারা উৎসাহিত করে আসছিলেন, সেসব উৎসাহদাতা শিল্পীরা সরে পড়েছেন।

আরএম-০১/১৭/১০ (বিনোদন ডেস্ক)