জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের তালিকায় ভারতীয় নাগরিকের নাম কিভাবে এলো?

জাতীয় চলচ্চিত্র

ঘোষণা করা হয়েছে ২০১৭ ও ২০১৮ সালের ‘জাতীয় চলচ্চিত্র’ পুরস্কার। গত ৫ই নভেম্বর তথ্য মন্ত্রণালয়ের চলচ্চিত্র-১ শাখায় এ বিষয়ক প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে। সেখানে বিগত দুই বছরে চলচ্চিত্রের বিভিন্ন বিভাগে সেরাদের নাম জানা গেছে। এরমধ্যে ২০১৭ সালের ‘ঢাকা অ্যাটাক’ চলচ্চিত্রের জন্য ‘সেরা সম্পাদক’ হিসেবে মো. কালামের নাম ঘোষণা করা হয়, যিনি একজন ভারতীয় নাগরিক।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে পুরস্কারের জন্য চলচ্চিত্র আহ্বান করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড যে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল সেখানে বলা হয়েছিল, কেবল বাংলাদেশি নাগরিকরা জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হবেন। তাহলে চলচ্চিত্র পুরস্কারের তালিকায় কালামের নাম কীভাবে এলো- সে প্রশ্নের জবাবে জুরি বোর্ডের সদস্য ও চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার বলেন, কালাম যে একজন বিদেশি সেটা আমাদের জানাই ছিল না। আর এই সিনেমার শিল্পী-কলাকুশলীদের তালিকায় ১৯ নম্বরে কালামের যে ঠিকানা দেওয়া আছে ঢাকার পল্লবীর।

তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, এটা ভুল হয়েছে। প্রযোজক প্রতিষ্ঠান আবেদনের তালিকা দেয় পুরস্কার কমিটির কাছে। তারা কেন ভারতীয় নাগরিকের নাম দিয়েছে এখানে? মুসলিম হওয়ায় আমরা বিচারের সময় বুঝতে পারিনি উনি ভারতীয়।

যেহেতু অভিযোগ উঠেছে তাই ভুলটা খতিয়ে দেখা হবে। সামনের যেকোনো কার্য দিবসে এ বিষয়ে মিটিং করে নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে যিনি দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন তাকে হয়তো এই পুরস্কার প্রদান করা হতে পারে।

গুলজার আরও বলেন, প্রযোজনা সংস্থা যদি ভুল করে থাকে তাহলে পুরস্কার কমিটির কিছু করা থাকে না। আর সচেতনভাবে আমরা কোনো বিদেশিকে পুরস্কার দিইনি।

এদিকে, এই বিষয়ে ঢাকা অ্যাটাক সিনেমার প্রযোজক সানী সারোয়ার বলেন, সত্যি কথা বলতে পুরস্কারের তালিকায় কালামের নাম দেখে আমিও অবাক হয়েছি। আবেদনের তালিকায় আমারদের সিনেমার ‘‘টুপটাপ’ গানটির সুরকার অরিন্দমের নামের পাশে ‘ভারতীয়’ শব্দটি লেখা ছিলো। কিন্তু মো. কালামের নামের পাশে সেটা ভুলবশত লেখা হয়নি। উনার ঠিকানা ও ফোন নাম্বারও ভুল হয়েছিলো। এমন ঘটনায় আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। আমি জানি কেবল বাংলাদেশি নাগরিকগণ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য বিবেচিত হন। আশা করবো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জুরি বোর্ড নতুন কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন।

আরএম-০১/০৮/১১ (বিনোদন ডেস্ক)