গোপন ক্যামেরায় তারকাদের গোপন ভিডিও ফাঁসের ১৭ ঘটনা

গোপন ক্যামেরায়

অনলাইনে তারকাদের গোপন ছবি বা ভিডিও ফাঁস হলেই তোলপাড় শুরু হয়। একান্ত ব্যক্তিগত ছবি প্রকাশ হয়ে পড়ায় বিপাকে পড়েন তারকারা। ছবি ফাঁস হওয়ার ঘটনায় লজ্জার মুখেও পড়তে হয় তাদের। সাধারণত কোনো হ্যাকার বা প্রতিহিংসার বশে কেউ সেগুলো ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়। জার্মানির জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলে বাংলা প্রকাশ করে এরকম ঘটনার শিকার ১৭ তারকার কথা।

কিম কার্দেশিয়ান

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম তারকা কিম কার্দেশিয়ানের গোপন ভিডিও প্রকাশিত হয় ২০০৭ সালে। ভিডিওটিতে তার সঙ্গী ছিলেন তার সাবেক ছেলেবন্ধু রেই জে। ভিভিড এন্টারটেইনমেন্ট সেই ভিডিও প্রকাশ করলে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মামলা করেন কিম। ফলে পাঁচ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ পান তিনি।

প্যারিস হিল্টন

প্যারিস হিল্টনের সঙ্গে তার ছেলেবন্ধু রিক সালেমানের যৌন মিলনের কিছু দৃশ্য নিয়ে ‘ওয়ান নাইট ইন প্যারিস’ নামে একটি পর্ন ফিল্ম মুক্তি পায় ২০০৪ সালে। হিল্টন দাবি, তার অনুমতি ছাড়াই ভিডিওটি প্রকাশ করা হয়েছিল। এমনকি ভিডিও ধারণের সময়ও তিনি সেই বিষয়ে সচেতন ছিলেন না বলে জানিয়েছেন এই তারকা। বিষয়টি নিয়ে আদালতে গেলে চার লাখ মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ পান তিনি।

পামেলা এন্ডারসন

হানিমুনে গিয়ে স্বামী টমি লিয়ের সঙ্গে শখের বশে একটি সেক্স টেপ তৈরি করেছিলেন বেওয়াচ তারকা পামেলা এন্ডারসন। কিন্তু পরবর্তীতে কেউ একজন তার বাড়ি থেকে সেই ভিডিও চুরি করেন এবং ‘ইন্টারনেট এন্টারটেইনমেন্ট গ্রুপের’ কাছে বিক্রি করে দেন। এই তারকার আরো একটি একই ধরনের ভিডিও ইন্টারনেটে ফাঁস হয়েছে।

ফারাহ আব্রাহাম

যখন জানাজানি হয় যে ফারাহ আব্রাহাম এবং জেমস ডিনের একটি সেক্স টেপ আছে তখন বাধ্য হয়েই সেটি প্রকাশে সম্মতি দেন তিনি। আব্রাহাম জানান ভিডিও প্রকাশের ফলে তার ক্যারিয়ারে তেমন কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি। তবে ডিন সেটির কথা মানুষকে জানিয়ে বিশ্বাসভঙ্গ করেছিলেন বলে হতাশা প্রকাশ করেছেন তিনি।

কেট রিচি

২০০০ সালে গুজব ছড়িয়েছিল যে কেট রিচির সঙ্গে তার এক সাবেক ছেলেবন্ধুর একটি সেক্স ভিডিও রয়েছে। তবে, সেই খবর কখনো নিশ্চিত করেননি কিংবা প্রকাশ্যে সেই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি এই সোপ অপেরা তারকা। ইন্টারনেটে তার নাম সার্চ করলে অবশ্য ভিডিওটির স্ক্রিনশট এখনো দেখা যায়।

ব্লাক সায়না

প্রাক্তন এক ছেলেবন্ধু তাকে না জানিয়েই তাদের এক অন্তরঙ্গ মুহূর্ত ভিডিও করেছিলেন। পরবর্তীতে সেই ঘটনাকে ‘অপমানকর’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন ব্লাক সায়না।

জেনিফার লরেন্স

২০১৪ সালে একশোর বেশি তারকার আইক্লাউড একাউন্ট হ্যাকড হয়েছিল। তাদের একজন জেনিফার লরেন্স। তার নগ্ন ছবি ফাঁস হয় তখন।

ম্যাল বি

প্রাক্তন স্বামী স্টেফেন বেলাফন্টের এক কুকীর্তির কথা জেনে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন মেল বি। তিনি নাকি তাকে না জানিয়েই তাদের যৌন জীবনের ৬০টি ভিডিও তৈরি করেছিলেন। সেসব ভিডিও যাতে ফাঁস না হয় সেজন্য স্বামীর বিরুদ্ধে আনা গৃহ নির্যাতনের অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন সাবেক এই স্পাইস গার্ল।

বেলা থর্নে

এক হ্যাকার বেলা থর্নের নগ্ন ছবি ফাঁসের হুমকি দিয়েছিলেন। সেই হুমকিতে ভয় না পেয়ে নিজেই সেসব ছবি প্রকাশ করেন বেলা। অনেকে তার এই উদ্যোগকে এ ধরনের পরিস্থিতিতে সাহসী সিদ্ধান্ত হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তবে, হুপি গোল্ডবার্গ এমন ছবি তোলাই উচিত নয় বলে বেলা থর্নের সমালোচনা করেছেন।

রব লো

১৬ বছর বয়সী এক মেয়ের সঙ্গে যৌন মিলনের ভিডিও টেপ প্রকাশের পর ভালোই বিপাকে পড়েছিলেন রব লো। ১৯৮৮ সালের ঘটনা সেটা। তখন তার বয়স ছিল ২৪ বছর। জর্জিয়ায় সেই ভিডিওটি করা হয়েছিল। সেখানকার আইনে একটি মেয়ে ১৪ বছর বয়সেই যৌন সঙ্গমে সম্মতি দিতে পারতো। কিন্তু, কোনো ভিডিওতে নিজের উপস্থিতির সম্মতি দেওয়ার বয়স ছিল ১৮। সেই ঘটনা রবের ক্যারিয়ারের মারাত্মক ক্ষতি করেছিল।

আম্বার রোস

আম্বার রোসের আসলেই কোনো সেক্স টেপ আছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে, অসংখ্য ভিডিও ইন্টারনেটে রয়েছে যেগুলোতে তাকে অন্তরঙ্গ অবস্থায় অন্য কারো সঙ্গে দেখা গেছে। নগ্ন ছবি প্রকাশের ক্ষেত্রে তিনি অবশ্য বেশ উদার হিসেবেই পরিচিত।

জেনিফার লোপেজ

জেনিফার লোপেজের প্রাক্তন স্বামী ওজানি নোয়া ২০০০ সালের দিকে তাদের একটি সেক্স ভিডিও ফাঁস করে স্ত্রীর ওপর প্রতিশোধ নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু লোপেজ তার প্রাক্তন স্বামীকে এই কাজ করা থেকে রুখতে সক্ষম হয়েছিলেন। তা সত্ত্বেও কয়েকটি ওয়েবসাইট দাবি করেছে তাদের কাছে সেই ভিডিওর কপি রয়েছে।

নিকোল শেরজিঞ্জার

নিকোল শেরজিঞ্জার এবং তার প্রাক্তন ছেলেবন্ধু লুইস হ্যামিল্টনের ফাঁস হওয়া ভিডিওটিতে দু’জনের আলিঙ্গন ও চুম্বন দৃশ্য ছাড়া আর কিছু ছিল না। তবে সেই ভিডিও প্রকাশের পর বেজায় ক্ষেপেছিলেন নিকোল। তিনি সেই ঘটনাকে ‘যৌন সহিংসতা’ আখ্যা দিয়ে তার ব্যক্তি গোপনীয়তা এবং সম্মতির অধিকারের চরম লঙ্ঘন আখ্যা দিয়েছিলেন। নিকোলের ভয় ছিল ভবিষ্যতে তাদের অন্য কোনো ভিডিও ফাঁস হতে পারে যা আরো বেশি অন্তরঙ্গ।

কেন্ড্র উইলকিনসন

মাত্র ১৮ বছর বয়সে এক এডাল্ট ভিডিও বানিয়েছিলেন কেন্ড্র উইলকিনসন। তবে সেটি ২০১০ সালের আগ অবধি প্রচার করেনি ভিভিড এন্টারটেইমেন্ট। আর যখন সেটি প্রকাশ হয় তখন কেন্ড্র বিবাহিত এবং এক সন্তানের মা। এই ঘটনাকে অত্যন্ত বিব্রতকর আখ্যা দিয়েছন কেন্ড্র। এমনকি ভিডিওটির প্রকাশ রুখতে আদালতেও গিয়েছিলেন তিনি। তবে সফল হননি।

স্কারলেট ইয়োহানসন

যদি কোনো ওয়েবসাইটের দাবি করছে তাদের কাছে স্কারলেট ইয়োহানসনের সেক্স ভিডিও রয়েছে, তবে তা বিশ্বাস না করাই ভালো। কেননা, স্কারলেট নিজে জানিয়েছেন সেগুলো ‘ডিপফেক’ প্রযুক্তি ব্যবহার করে তৈরি ভুয়া ভিডিও। ২০১১ সালে এক হ্যাকার অবশ্য তার ফান থেকে একটি নগ্ন ছবি চুরি করে ইন্টারনেটে ছেড়ে দিয়েছিল। স্কারলেট সফলভাবে সেই হ্যাকারকে বিচারের মুখোমুখি করতে পরেছেন। হ্যাকারের এক দশক কারাবাসের শাস্তি হয়েছে।

মাইলি সাইরাস

স্টেজে এবং ক্যামেরার সামনে প্রায়ই নানা যৌন ইঙ্গিতপূর্ণ অঙ্গভঙ্গি করেন মাইলি সাইরাস। ২০১৭ সালে তার কিছু অন্তরঙ্গ ব্যক্তিগত ছবি ফাঁস করে একটি পর্ন ওয়েবসাইট।

রিহানা

অজ্ঞাতপরিচয়ের এক হ্যাকার ২০০৯ সালে রিহানার নগ্ন ছবি ফাঁস করে। এটাকে তার সঙ্গে সংঘটিত সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনা হিসেবে আখ্যা দিলেও ক্যারিয়ারের ওপর তার যেন কোনো প্রভাব না পড়ে সচেষ্ট ছিলেন এই সঙ্গীতশিল্পী। তবে নিজের নগ্ন ছবি তোলাকে কোনো অপরাধ হিসেবে মানতে রাজি নন রিহানা। বরং যেসব ছেলেবন্ধুদের তাদের বান্ধবীরা নগ্ন ছবি পাঠায় না তাদের জন্য তার খারাপ লাগে বলে জানিয়েছেন রিহানা।

আরএম-০৯/১৯/১১ (বিনোদন ডেস্ক)