কারো ঘর ভাঙেননি, নাসিরকে ভালোবেসে আজও একা আশা

কারো ঘর

ভারতীয় চলচ্চিত্র অঙ্গনের কিংবদন্তি অভিনেত্রী আশা পারেখ। ‘তিসরি মঞ্জিল’ থেকে ‘কাটি পতঙ্গ’—অসংখ্য সুপারহিট চলচ্চিত্র উপহার দিয়েছেন পদ্মশ্রী পুরস্কারপ্রাপ্ত এ অভিনেত্রী। জিতেছেন অনেক পুরস্কার। কিন্তু অভিনয়ই নয় শুধু, তাঁর জীবন থেকেও আমাদের শিক্ষা নেওয়া জরুরি।

পরিচালক নাসির হুসেনকে ভালোবাসতেন। একমাত্র নাসির হুসেনই ছিলেন, জীবনভর যাঁকে ভালোবেসেছেন। নাসিরের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর অন্য কারো সঙ্গে আর সম্পর্কে জড়াননি। কাউকে বিয়েও করেননি।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ফ্রি প্রেস জার্নালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই কিংবদন্তি অভিনেত্রী সম্প্রতি তাঁর ব্যক্তিজীবন নিয়ে মুখ খুলেছেন। প্রকাশ করেছেন তাঁর আত্মজীবনীমূলক বই ‘দ্য হিট গার্ল’। পরিচালক নাসির হুসেনের সঙ্গে সম্পর্ক, কেন তিনি বিয়ের সিদ্ধান্ত নিলেন না, কেন সারা জীবন একাই থেকে গেলেন—সব প্রকাশ করেছেন আশা।

বার্তা সংস্থা আইএএনএসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আশা পারেখ বলেন, ‘জীবনে একমাত্র নাসির সাহেবকে ভালোবেসেছি। তাঁর প্রতি প্রেমমুগ্ধ ছিলাম। তাঁকে ভালোবাসতাম।’ আশা আরো বলেন, জীবনে আসা মানুষগুলোর কথা যদি আত্মজীবনীতে না লেখেন, তবে সে লেখা মূল্যহীন হয়ে যাবে।

আশা জানান, পরিচালক নাসির হুসেনই একমাত্র ব্যক্তি, যাঁকে তিনি ভালোবেসেছেন। কিন্তু তাঁর জন্য বিবাহিত নাসির হুসেনের পরিবার যাতে ভেঙে না যায়, সে চেষ্টাই করেছেন। সে কারণে নাসির হুসেনের সঙ্গে সম্পর্কে ছেদ টানেন বলেও জানান আশা। তবে তাঁর জীবনের সেরা সিদ্ধান্ত হলো অবিবাহিত থাকা। কারো ঘর ভেঙে কখনো নিজের ঘর গড়তে চাননি এ কিংবদন্তি।

সুপারস্টার আমির খানের চাচা পরিচালক নাসির হুসেন। বলিউডে মসলা ছবি তৈরির অন্যতম প্রবর্তক ছিলেন নাসির। তাঁর হাত ধরেই বি-টাউনে পা রাখেন আশা পারেখ।

‘দিল দেকে দেখো’ নামে নাসিরের চলচ্চিত্র দিয়ে অভিনয় জগতে আসেন আশা পারেখ। এ সিনেমায় আশা পারেখের বিপরীতে অভিনয় করেন শাম্মি কাপুর। ওই সিনেমার পরই নাসির হুসেনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান আশা। কিন্তু সেই সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর আর বিয়ে করেননি তিনি।

আরএম-১২/০৪/১২ (বিনোদন ডেস্ক)