তারকাদের চোখে সেরা রোমান্টিক দৃশ্য

তারকাদের

জনপ্রিয় কয়েকজন অভিনয়শিল্পী বলেছেন নিজের অভিনীত এবং নিজের দেখা রূপালী পর্দা ও টিভি পর্দায় সেরা প্রেমদৃশ্য কোনটি। জানিয়েছন কেন-ইবা ভালো লাগে সেই অংশটুকু। তাদের ভাবনায় এখনো কেন প্রিয় অনুভূতি হয়ে নাড়া দেয় সিনেমা বা নাটকের দৃশ্যগুলো। পাঠকদের জন্য রইলো দেশের জনপ্রিয় অভিনেতা-অভিনেত্রীদের পছন্দের পর্দার দৃশ্যের গল্প।

শাবনূর

আমার অভিনীত প্রিয় দৃশ্য ‘আনন্দ অশ্রু’র যে দৃশ্যে সালমান শাহকে পাগল বানিয়ে স্পিড বোটে করে নিয়ে যায়, নদীর পাশ দিয়ে পেছন পেছন ছুটে যাই, কিন্তু আটকাতে পারি না। একই সঙ্গে ‘থাকত যদি প্রেমের আদালত’ গানটিও আমার প্রিয়। আর আমার দেখা অন্য কোনো সিনেমার প্রিয় দৃশ্য হলো ‘ফরেস্ট গাম্প’-এ ফরেস্ট গাম্প যখন জেনির কবরে চিঠি দিতে আসে। সে এক অসাধারণ মূহূর্ত।

ফারুক

আমার অভিনীত প্রিয় দৃশ্য ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’র কথা বলা যায়। যদিও আরো অনেক ছবি আছে, দৃশ্য আছে। ঘুটঘুটে অন্ধকারে ট্রেন চলছে, আমি গোলাপিকে বলছি, ‘একটা কিছু কও গোলাপী’। গোলাপী তখন আমাকে চড়-থাপ্পড় মারছে। এমন রোমান্টিসিজমের গভীরে না ঢুকলে কেউ বুঝবে না এ রকম একটি দৃশ্যে কিভাবে রোমান্স আসছে। আর আমার দেখা প্রিয় হলো ‘ডুয়েল ইন দ্য সান’-এর শেষ দৃশ্য। পাহাড়ে নায়িকাকে একা দেখা করতে বলে নায়ক। কথা ছিল পাহাড়ের নিচে এসে ফাঁকা গুলি করবে নায়িকা। কিন্তু গুলি গিয়ে লাগে পাহাড়ের চূড়ায় থাকা নায়কের বুকে। পাহাড়ের চূড়ায় উঠে আসে নায়িকা। শত্রুর আক্রমণ ভেবে গুলি চালায় নায়কও, গুলি লাগে নায়িকার বুকে। আহত প্রেমিক-প্রেমিকা কাছাকাছি আসে, চুমু খায় এবং একই সঙ্গে দু’জনের মৃত্যু হয়। সূর্য তখন অস্ত যায় যায় অবস্থা।

পূর্ণিমা

আমার অভিনীত প্রিয় দৃশ্য ‘মনের মাঝের তুমি’তে রিয়াজের সঙ্গে পরিচয়ের দৃশ্য। ছবিতে ওকে আমি ‘ছোলার ডাল’ বলে ডাাকি। আমি তার পায়েস কেড়ে নিয়ে খেয়েছিলাম। রিয়াজ আমার হাত শক্ত করে ধরে, আমি বললাম, হাত না ছাড়লে আজীবনের জন্য ধরে রাখতে হবে, তখনই ছেড়ে দিয়েছিল। ওই দৃশ্যটি খুবই রোমান্টিক। আর আমার দেখা প্রিয় দৃশ্য ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে’র প্রতিটি দৃশ্য। নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে শাহরুখ ও কাজলের ট্রেনের কামরার দৃশ্যটি। কারণ ওইখান থেকে তাদের প্রেমের শুরু।

সজল

আমার অভিনীত প্রিয় দৃশ্য টেলিফিল্ম ‘ভালোবাসি তাই’-এর দৃশ্য। সহশিল্পী ছিল বিদ্যা সিনহা মিম। ওকে ভালোবাসি, কিন্তু কখনো বলতে পারিনি। আমার বন্ধুর সঙ্গেই ওর বিয়ে হয়। বিয়ের পরে ওকে মনের কথা খুলে বলি। তবে মুখে নয়, কাগজে লিখে নিয়ে যাই। আর আমার দেখা প্রিয় দৃশ্য হচ্ছে রণবীর কাপুর আর দীপিকা পাড়ুকোনের ‘ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’র দৃশ্য। তাদের বন্ধুর বিয়ের অনুষ্ঠান। উৎসব চলছে, সবাই আনন্দে ব্যস্ত। রণবীরের চোখে তখন পানি, ঘাড় ঘুরিয়ে দেখে দীপিকাও তার দিকে তাকিয়ে কাঁদছে। সেই কান্নাভেজা চোখ অন্য কিছু বলছে। দৃশ্যটা অনেক রোমান্টিক।

মেহজাবিন

আমার অভিনীত প্রিয় দৃশ্য হচ্ছে টেলিফিল্ম ‘ভালোবাসা ১০১’-এর দৃশ্য। সহশিল্পী সিয়ামের সঙ্গে আমার প্রেম হয় ফোনে। আমার বাড়ি চট্টগ্রাম, ওর ঢাকায়। ভ্যালেন্টাইন ডে-তে সারপ্রাইজ দেয়ার উদ্দেশ্যে আমি রওনা হই ঢাকায়, সিয়াম চট্টগ্রামে। কুমিল্লায় দু’জনের দেখা। দু’জনই হতবাক। দৃশ্যটা বেশ রোমান্টিক। আর আমার দেখা প্রিয় দৃশ্য অবশ্যই ‘টাইটানিক’-এর দৃশ্য। জাহাজ ভেঙে যাওয়া শুরু করলে নিরাপত্তার জন্য বোটে করে নেমে যাচ্ছিল রোজ। কিছুটা নেমে যাওয়ার পর রোজ লাফিয়ে জাহাজে উঠে আসে এবং জ্যাককে জড়িয়ে ধরে। দৃশ্যটা আমার খুব প্রিয়। এখনো সিনেমাটা দেখলে কাঁদি। এই দৃশ্যে বেশি আবেগি হয়ে পড়ি।

ওমর সানী

আমার অভিনীত প্রিয় দৃশ্যটি হচ্ছে ‘প্রথম প্রেম’ ছবির দৃশ্য। মৌসুমীর জন্য পাহাড় থেকে একটি ফুল নিয়ে আসি। ফুল তুলতে অনেক কষ্ট হয়েছিল। দৃশ্যটা বেশ রোমান্টিক। আর আমার দেখা প্রিয় দৃশ্য অমিতাভ-রেখা অভিনীত ‘সিলসিলা’র প্রতিটা প্রেমের দৃশ্যই আমার অসম্ভব প্রিয়।

সুমাইয়া শিমু

আমার অভিনীত প্রিয় দৃশ্য হচ্ছে ২০১৩তে প্রচারিত নাটক ‘তৃষ্ণার তানপুরাটা’। দৃশ্য ছিল আমি এক পার্টিতে যাই ফ্রেন্ডদের সঙ্গে। কিন্তু পার্টিটা ভালো লাগছিল না। চলে আসি খোলা আকাশের নিচে। সেখানে আরো এক যুবক দাঁড়িয়ে। তারও পার্টি ভালো লাগছিল না। কথায় কথায় সারা রাত কেটে যায় দু’জনের। অচেনা এক যুবকের সঙ্গে সূর্যোদয়ের সময়ও চলতে থাকে গল্প। তারপর দু’জনে আলাদা হয়ে যাই। খুবই রোমান্টিক একটা দৃশ্য। আমার সহশিল্পী ছিলেন অপূর্ব। আর আমার দেখা প্রিয় দৃশ্য হলো হলিউড ছবি ‘বিফোর সানরাইজ’এর দৃশ্য। ইথান হক আর জুলি ডেল্পি সিনেমার নায়ক-নায়িকা। প্যারিস যাওয়ার পথে ভিয়েনায় নেমে পড়ে দু’জন। তখন রাত, হোটেল পাওয়া গেল না। সারা শহর ঘুরে শেষমেশ পার্কে অবস্থান নেয়। সেখানেই খোলা আকাশের নিচে শুয়ে পড়ে দু’জন। নির্জন পার্কে রাত-যাপন আর কথোপকথনের দৃশ্য বেশ রোমান্টিক।

আরএম-১৪/১৫/০২ (বিনোদন ডেস্ক)