অভিযোগের তীর আমার দিকেও ছিল: ডন

অভিযোগের

আশরাফুল হক ডন। অভিনেতা। প্রয়াত অভিনেতা সালমান শাহর অত্যন্ত কাছের বন্ধু ছিলেন তিনি। সালমান শাহর মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ ছিল তার ওপর। সম্প্রতি পিবিআইর প্রতিবেদনে সালমান হত্যায় তার কোনো সংশ্নিষ্টতা পাওয়া যায়নি। সাম্প্রতিক ও সালমানবিষয়ক প্রসঙ্গ নিয়ে কথা হয় তার সঙ্গে-

২৩ বছর পর সালমান শাহর হত্যারহস্য উদ্ঘাটন করল পিবিআই। তারা যে তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছে এটাকে আপনি কীভাবে দেখছেন?

আইন যা বলে তার ওপর কারও কিছু করার নেই। সালমান হত্যার পর অনেক তদন্ত হয়েছে। সর্বশেষ তদন্ত করল পিবিআই। তারা অনেক সময় নিয়ে তদন্ত করেছে। কয়েক মাস আগে আমাকেও ডাকা হয়। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তারা এ-সংশ্নিষ্ট সবাইকে তলব করেছে বলে শুনেছি। এর ভিত্তিতে এ আত্মহত্যার প্রতিবেদন দিয়েছে। আমি দেশের আইন ব্যবস্থা এবং পিবিআইর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। দুই যুগ ধরে চলে আসা একটি রহস্যের অবশেষে সুষ্ঠু-সুন্দর প্রতিবেদন দিয়েছে তারা।

সালমানের মৃত্যুতে আপনাকেও হত্যা মামলার আসামি ধরে নেওয়া হয়েছিল …

হ্যাঁ, সালমান ভক্তদের অনেকের অভিযোগের তীর আমার দিকেও ছিল। তারা এটা কেন বুঝল না যে, সালমান ছিল আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। যাকে আমি কোনোভাবেই হত্যা করতে পারি না। কেন আমি নিজের বন্ধুকে খুন করব? এমন তো না যে সালমানকে খুন করলে আমি তার অবস্থানে নিজেকে বসাতে পারতাম। এ কথাটিই কাউকে বোঝাতে পারিনি। অথচ দিনের পর দিন সালমান ভক্তরাও আমাকে দুষেছেন। এটা আমাকে দীর্ঘদিন ধরে যন্ত্রণা দিয়েছে। সালমান মারা যাওয়ার পর আমি মনোযোগ দিয়ে কাজ করতে পারিনি। কাজও কমে গেছে। অবশেষে পিবিআইর প্রতিবেদনের মাধ্যমে একটা মিথ্যা অপবাদ থেকে মুক্তি পেয়েছি, দুশ্চিন্তামুক্ত করেছে আমাকে।

পিবিআই’র প্রতিবেদন প্রকাশের পরও সালমান ভক্তরা আপনাকে জড়িয়ে নানা রকম কথা বলছে। এ নিয়ে আপনার বক্তব্য কী?

আইনের প্রতি শ্রদ্ধা না জানিয়ে মামলা নিয়ে অনেকে উল্টাপাল্টা কথা বলছে। যারা নানা কথা বলছে, তারা এই মামলা সম্পর্কে কী জানে? এখন যার বয়স ৩০ বছর, ১৯৯৬ সালে যখন সালমান শাহ আত্মহত্যা করেন, তখন সেই দর্শকের বয়স ছয়-সাত বছর। অথচ তারাই এখন মহাজ্ঞানীর মতো এই মামলার রায় নিয়ে কথা বলছে। না বুঝেই বলছে- এটা নাকি আত্মহত্যা নয়। মজার বিষয় হচ্ছে, ওই সময়ে যাদের জন্ম হয়নি তারা বলছে, সালমানকে আমি খুন করেছি! সালমান ভক্তদের এসবই অবান্তর কথাবার্তা। একধরনের ছেলেমানুষি ছাড়া আর কিছুই নয়।

শাবনূরের সঙ্গে সালমানের সম্পর্কের যে বিষয়টি উঠে এসেছে, তা নিয়ে শাবনূর ও সামিরা পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করছেন। এ বিষয়টি আপনি কীভাবে দেখছেন?

সামিরা আর শাবনূরের বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই। তাদের একে অপরের বিরুদ্ধে কিছু বলছে কিনা, তা নিয়েও মাথা ঘামাচ্ছি না। আমার কথা একটিই, সালমান শাহ ছিল আমার প্রাণের বন্ধু। তাকে ছাড়া এত বছর কত কষ্ট, জ্বালা-যন্ত্রণা সয়েছি, তা আমিই জানি। সালমান শাহ এ দেশের মানুষের কাছে একটি আবেগের নাম। মৃত্যুর এত বছর পরও সে সবার কাছে জীবন্ত। তাই সালমানকে নিয়ে যেন আর কোনো অবান্তর কথা না রটে- এটাই আমি চাই। আরও চাই, আমার বন্ধু ওপারে ভালো থাকুক।

আরএম-০৮/২৯/০২ (বিনোদন ডেস্ক, তথ্যসূত্র: সমকাল)