যদি ইন্টার্ন করতাম, বন্দি না থেকে মানুষকে চিকিৎসা দিতাম

ঐশী। তারকা কণ্ঠশিল্পী। সম্প্রতি বিভিন্ন শিল্পীর সঙ্গে রবীন্দ্রসংগীত গেয়ে শ্রোতার প্রশংসা কুড়িয়েছেন। ব্যস্ত আছেন গানের পাশাপাশি জনসচেতনতা গড়ে তোলার কাজ নিয়ে। এ নিয়ে কথা হয় তার সঙ্গে-

কয়েকজন শিল্পীর সঙ্গে সম্মিলিতভাবে আপনার রবীন্দ্রসংগীত গাওয়া নিয়ে বেশ আলোচনা চলছে। ঘরে বসেই সম্মিলিতভাবে রবীন্দ্রসংগীত গাওয়ার পরিকল্পনা মাথায় এলো কীভাবে?

কোনো পরিকল্পনা ছাড়াই এটা হয়ে গেছে। ‘গানবাংলা পরিবার’ নামে আমাদের একটি ফেসবুক গ্রুপ আছে। ক’দিন আগের কথা। সেই গ্রুপের শিল্পীরা আড্ডা দিচ্ছিলাম। আড্ডার মাঝেই তাপস ভাই [কৌশিক হোসেন তাপস] তার পিয়ানোতে কবিগুরুর ‘আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে’ গানটি সুর তুলে শোনান। সেই সুর শুনে আঁখি আপা [আঁখি আলমগীর] হঠাৎ গাওয়া শুরু করেন। এরপর আমাদেরও গাইতে বলেন। আমরাও একে একে বিভিন্নজন ভিডিওতে গান গেয়ে শোনাই। এরপর তাপস ভাই সেই সম্মিলিত গানের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেন। এরপর থেকেই আলোচনা শুরু।

রবীন্দ্রসংগীত আগে কখনও গেয়েছেন?

যদিও এখন পর্যন্ত নিজের গাওয়া কোনো রবীন্দ্রসংগীত প্রকাশ করিনি। কিন্তু এটা সত্যি যে, ছোটবেলা থেকেই আমি রবীন্দ্রসংগীতের ভক্ত। মা-বাবা দু’জনেই রবীন্দ্রসংগীত গাইতেন, আমিও শিখেছি। অন্যান্য ঘরানার গানও শেখা হয়েছে। লোকগানের সঙ্গে রবীন্দ্রসংগীতের এক যোগসূত্র আছে বলেও আমার মনে হয়। যেজন্য লোকগান এবং রবীন্দ্রসংগীতের প্রতি এত ভালো লাগা। তাই ভবিষ্যতে রবীন্দ্রসংগীত গেয়ে তা প্রকাশ করার ইচ্ছা আছে।

এখন স্টেজ শো বন্ধ, নতুন গানের কোনো আয়োজন করছেন কি?

নতুন গানের আয়োজন নিয়ে আপাতত ভাবছি না। এরপরও আমার দিনের বেশির ভাগ সময় কাটছে স্টুডিওতে। গানের চর্চা চালিয়ে যাচ্ছি, সেই সঙ্গে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় কী করা যায়, তা নিয়ে ভাবছি। মানুষকে সচেতন করতে ভিডিও তৈরি করছি বেশ কিছুদিন ধরে। কীভাবে করোনা মোকাবিলা করা যায়, তা নিয়ে তৈরি করা ছোট ছোট ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করছি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

চিকিৎসা বিষয়ে পড়াশোনা করছেন। সেটা এখন কতটা কাজে লাগছে?

পড়াশোনা এখনও শেষ হয়নি। যদি ইন্টার্নও করতাম, তাহলে ঘরে নিজেকে বন্দি না রেখে মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়াতাম। অসহায় মানুষকে চিকিৎসাসেবা দিতে যোদ্ধার মতো মাঠপর্যায়ে কাজ করতাম। কিন্তু এখন তা পারছি না। এরপরও যেভাবে যতটুকু পারছি, মানুষকে সাহায্য করছি।

তথ্যসূত্র: দৈনিক সমকাল