সিনেমার পর্দায় তিনি কখনো ছিলেন ‘অপু’, আবার কখনো ‘ফেলুদা’। অপু-ফেলুদাদের দেশের কোনো সীমানা থাকে না, তাই তো বর্ষীয়ান অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের চলে যাওয়ায় পদ্মার এপারেও শোকের ছায়া।
বাংলাদেশে তুমুল জনপ্রিয় ছিলেন কলকাতার সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। তাই তো তাঁর চলে যাওয়ায় বাংলাদেশের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো যেন শোকবই। সেই শোক বইয়ে স্বাক্ষর করেছেন দেশের তারকারাও।
চিত্রনায়ক শাকিব খান সৌমিত্রের চলে যাওয়ার খবরে ফেসবুকে লিখেছেন, ‘যেখানে থাকেন, যেভাবেই থাকেন, আপনি আমাদের হৃদয়েই থাকবেন। বিদায় হে বরেণ্য!’ চিত্রনায়ক আরিফিন শুভ সৌমিত্রকে বিদায় জানিয়েছেন এভাবে, ‘ভালো থাকবেন পুরোনো বন্ধুদের সাথে, বেলা শেষে দেখা হবে…।’
দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘পর্দায় তিনি যখন অভিনয়ের গরিমা ঝেড়ে ফেলে চরিত্রের আচরণ ফুটিয়ে তুলেছিলেন, ভারতবর্ষের শিল্পভুবনে সেটা শুধু বিস্ময়কর একটা ঘটনাই ছিল না, ছিল এক নতুন যুগের শুরু। বিশ্ব-চলচ্চিত্রের অভিনয়ের প্রথম সারিতেই তাঁর স্থান। কিন্তু অমন যে ইতিহাসের স্রষ্টা, অমন যে শিখরে ওঠা শিল্পী, মানুষ হিসেবে তিনি ছিলেন এক মহাসাগর। যে মহাসাগর অতলান্ত, কিন্তু শান্ত। তাঁর মৃত্যু নেই!’
অভিনেত্রী রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা লিখেছেন, ‘শান্তিতে বিশ্রাম নিন এই সময়ের সবচেয়ে গৌরবময় মানুষ।’ অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব লিখেছেন, ‘একটি যুগের সমাপ্তি। তাঁর আত্মা চিরন্তন শান্তিতে বিশ্রাম নিক, সৌমিত্র চ্যাটার্জি।’
আজ ভারতীয় সময় দুপুর ১২টা ১৫ মিনিটে কলকাতার বেলভিউ নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন এই কিংবদন্তি অভিনেতা। গত ৬ অক্টোবর করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। কলকাতার একাধিক গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ৬ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টা ১৫ মিনিট থেকে সাড়ে ৬টার মধ্যে কেওড়াতলা মহাশ্মশানে রাজ্য সরকারের সম্মাননার পর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে সৌমিত্রের।
আরএম-০৮/১৫/১১ (বিনোদন ডেস্ক)