পরীমনির পাশে দাঁড়াল পরিচালক সমিতি

মাদক মামলায় গ্রেপ্তার চিত্রনায়িকা পরীমনি বর্তমান কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগারে আছেন। মঙ্গলবার পরীমনির জামিন শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। এরই মধ্যে পরীমনির পাশে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি।

সোমবার পরীমনির ইস্যুতে একটি বিবৃতি দিয়েছে পরিচালক সমিতি। সমিতির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি কোনো ঘটনার সত্য মিথ্যা না জেনে তাৎক্ষণিক মন্তব্য থেকে বিরত থাকে। পরীমনির ঘটনার সত্য মিথ্যা জানার কোনো উপায় আমাদের ছিল না।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, চেষ্টা করা সত্ত্বেও পরীমনির সঙ্গে যোগাযোগের কোনো সুযোগ পাওয়া যায়নি। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যে প্রসঙ্গে পরীমনিকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে সে সর্ম্পকে আমরা শতভাগ নিশ্চিত না। পরীমনি বড় শিল্পী হওয়ায় তার ঘটনা নিয়ে এতো দ্রুত সত্য-মিথ্যা খুঁজে বের করার চেষ্টা করা দুরূহ ব্যাপার ছিল। সেই প্রসঙ্গে যারা তাৎক্ষণিক বিবৃতি দিয়েছেন তা নিয়ে বিভিন্ন পক্ষ-বিপক্ষ তৈরি হয়ে ঘটনাকে এমন একটা সংঘাতময় রূপ দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে যে যার থেকে আসল ঘটনা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হওয়া যায়নি।

পরীমনি গ্রেপ্তারের ২৫ দিন পর দেওয়া বিবৃতিতে পরিচালক সমিতির নেতারা উল্লেখ করেন, আমরা সমিতিগতভাবে পরিষ্কার জানাতে চাই, পরীমনি আমাদের একজন প্রিয় শিল্পী। পরীমনির গ্রেপ্তারের ঘটনা নিয়ে বাড়াবাড়ি করা হয়েছে। জামিন পেলে পরীমনি পালিয়ে যাবে বলে একজন উকিল পত্রিকায় প্রকাশিত যে উক্তি করেছেন তা ঠিক না বলে আমরা মনে করি। পরীমনি কোনো খুনের বা বিরাট কোনো ঘটনার আসামি না যে পালিয়ে যাবে।

পরীমনি আমাদের দেশের একজন জনপ্রিয় শিল্পী উল্লেখ করে বিবৃতে বলা হয়, পরীমনি যে মামলার আসামি তাতে তাকে জামিন দিয়ে মামলা চালাতে পারত বলে আমরা মনে করি। পরীমনি দোষী কি নির্দোষ সেটা আদালতে বিচারাধীন। কিন্তু জামিন পাওয়ার আইনি এখতিয়ার পরীমনির আছে। বহুল প্রচারিত একটি বাক্য-শত অপরাধী খালাপ হতে পারে কিন্তু একজন নিরপরাধীর যেন শাস্তি না পায়।

ন্যায় বিচারের স্বার্থে অবিলম্বরে পরীমনির জামিন চেয়েছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির নেতারা। তারা বলছেন, পরীমনিকে জামিন দিয়ে সত্য মিথ্যা প্রমাণ করার সুযোগ দেওয়া হোক। পরীমনির প্রতি যথাযথ সুবিচার করা হোক।

গেল ৪ আগস্ট সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতের পরীমনির বনানীর বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব। অভিযানে মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয় এ নায়িকার বাসা থেকে। র‌্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের মাদক সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেন পরীমনি। পরে ৫ আগস্ট তার নামে রাজধানীর বনানী থানায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয় তার নামে। কয়েক দফা রিমান্ড শেষে তিনি এখন কারাগারে আছেন।

এসএইচ-০৪/৩১/২১ (বিনোদন ডেস্ক)