পরীমনির আচরণে ক্ষিপ্ত সোহেল তাজ

সম্প্রতি দেশজুড়ে পরীমনিকে নিয়ে চলছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। মাদককাণ্ডে তার রিমান্ড, জামিনে মুক্ত হওয়া, হাতের তালুতে বিভিন্ন লেখা নিয়ে তাকে ঘিরে আলোচনার শেষ নেই। তবে এসবের মধ্যে পরীমনির এমন উশৃঙ্খল আচরণে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাজনীতিবিদ এবং বাংলাদেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ।

বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় দু’টি ছবি পোস্ট করেছেন পরীমনি। তাকে খোলা চুলে হাতে সিগারেট নিয়ে ক্যামেরায় পোজ দিতে দেখা যাচ্ছে। হাতের তালুতে মেহেদি দিয়ে লেখা ‘…ক মি মোর’ স্পষ্ট। তবে একজন পাবলিক ফিগার হয়ে তার এমন ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সোহেল তাজ।

বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় ফেসবুকে দুটি ছবি প্রকাশ করেছেন পরীমনি। তার একটি ছবিতে হাতে রয়েছে জ্বলন্ত সিগারেট। ক্যাপশনে লেখা- ‘সিগারেট ইন্জুরিয়াস টু হেল্থ’।

পরীমনির এ ছবি শেয়ারের বিষয়টি সহজভাবে নেননি সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ। তিনি পরীমনির সিগারেট খাওয়ার ছবির সংবাদ পোস্ট করে বলছেন, ‘একজন তারকার কাছ থেকে এরকম অশোভন আচরণ কাম্য নয়- আমাদের ছেলে মেয়েদের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে……’

বুধবার আদালতে হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন পরীমনি। সেদিনই তার হাতের তালুতে মেহেদি দিয়ে লেখা গালিসূচক একটি বার্তা দেন। তিনি নিজেই ক্যামেরায় পোজ দিয়ে বাক্যটি সবার নজরে এনেছেন। কেনো এমন কথা লিখলেন? পরে এর জবাবও দিয়েছেন। বলেছিলেন, ‘যারা আমার জীবন নিয়ে খেলতে চায় বা ঘাটতে আসে, তাদের সবাইকে আমি ওয়েলকাম করছি। আসো। ওয়েলকাম। আমি তোমাদের সঙ্গে এই খেলায় অংশ নিতে প্রস্তুত। দম যতোদিন আছে, আমি শেষ অবধি এই খেলায় লড়ে যাবো।’

এর আগে গত ১ সেপ্টেম্বর কাশিমপুর কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান পরীমনি। তখনও তিনি হাতের তালুতে মেহেদি দিয়ে একটি বার্তা লিখেছিলেন। সেটি ছিল ‘ডোন্ট লাভ মি বিচ’। ওই বার্তা নিয়েও মিডিয়া এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়।

গত ৪ আগস্ট সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে পরীমনির বনানীর বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব। অভিযানে মাদকদ্রব্য উদ্ধারের দাবি করা হয় এ নায়িকার বাসা থেকে। র‌্যাবের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাদক সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেন পরীমনি, জানায় র‌্যাব। পরে ৫ আগস্ট তার নামে রাজধানীর বনানী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হয়।

তিন দফায় সাতদিনের রিমান্ড শেষে উচ্চ আদালতে হস্তক্ষেপে গত ৩১ আগস্ট জামিন হয় পরীমনির। ৫০ হাজার টাকা মুচলেকায় মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার আগ পর্যন্ত পরীমনিকে জামিন দেন ঢাকা মহানগর দায়রা হাকিম কে এম ইমরুল কায়েশ।

১ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছেন পরীমনি। রিমান্ডের সময়সীমা বাদে কাশিমপুর কারাগারে ১৯ দিন ছিলেন এ চিত্রনায়িকা।

এসএইচ-২৬/১৭/২১ (বিনোদন ডেস্ক)