নায়িকা শিমু যে কারণে খুন হন

চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুকে (৩৫) প্রাথমিকভাবে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন তার স্বামী নোবেল। পারিবারিক ও দাম্পত্য কলহের জেরে শিমুকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

মঙ্গলবার ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মারুফ হোসেন সরদার।

এসপি মারুফ বলেন, এই ঘটনার পর আমরা শিমুর স্বামী নোবেল ও বন্ধু ফরহাদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনি। জিজ্ঞাসাবাদে তাদের সংশ্লিষ্টতা প্রতীয়মান হওয়ায় তাদের গ্রেফতার করা হয়।

হত্যার কারণ জানতে চাইলে জেলার পুলিশ সুপার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক ও দাম্পত্য জীবনে কলহ থাকায় তাকে (শিমু) হত্যা করা হয়েছে বলে জানায় নোবেল। আর হত্যার পর লাশ গুমে সে বন্ধু ফরহাদের সহযোগিতা নেয়।

চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুর (৩৫) বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধারের পর তার স্বামী সাখাওয়াত আলী নোবেল ও ফরহাদকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

র‌্যাবের একটি সূত্র জানিয়েছে, গাড়িচালককে জিজ্ঞাসাবাদ করলে র‌্যাবের কাছে তিনি কিছু তথ্য দেন। জিজ্ঞাসাবাদের সময় স্বামী নোবেল এ খুনের দায় স্বীকার করেছেন। তার কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া খুনের আলামত প্রাইভেটকারের ব্যাকডালায় রক্ত দেখা গেছে। প্রাইভেটকারটি জব্দ করা হয়েছে।

স্বামী ও দুই সন্তানকে নিয়ে রাজধানীর কলাবাগান এলাকার বাসায় থাকতেন শিমু। রোববার (১৬ জানুয়ারি) সকালে বাসা থেকে বেরিয়ে তিনি আর ফেরেননি। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় রাতেই কলাবাগান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।

পরদিন সোমবার কেরানীগঞ্জের হজরতপুর ব্রিজের কাছে আলিয়াপুর এলাকায় রাস্তার পাশ থেকে শিমুর বস্তাবন্দি খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

উল্লেখ্য, শিমু সিনেমায় আত্মপ্রকাশ করেছিলেন ১৯৯৮ সালে। ২০০৪ সাল পর্যন্ত নিয়মিত বড় পর্দায় দেখা গেছে তাকে। প্রথম সারির পরিচালকদের সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন শিমু। গত কয়েক বছর ধরে তিনি নাটকের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

এসএইচ-০৮/১৮/২২ (বিনোদন ডেস্ক)