বিচ্ছেদের পর তারকাদের বন্ধুত্বের কারণ কী?

যৌথ জীবনের ভিত গড়ে দেয় বিয়ে নামক সামাজিক স্বীকৃতি। তবে সময়ের ফেরে বিয়ে ভেঙে যাওয়ার কথাও শোনা যায় হরহামেশাই। সাধারণ মানুষ থেকে তারকা সবার ক্ষেত্রেই বিচ্ছেদ এখন স্বাভাবিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। তবে তারকাদের ক্ষেত্রে বিষয়টি কেবল ব্যক্তিগত সিদ্বান্তের বিষয় হিসেবে থাকে না। পরিণত হয় আলোচনা-সমালোচনার টপিকে।

বিচ্ছেদ তারকাদের ব্যক্তিগত ও পেশাজীবনে প্রভাব ফেললেও সম্প্রতি বিষয়টি স্বাভাবিকভাবেই নিচ্ছেন অনেকেই। এমন কি পূর্বে বিচ্ছেদ মানেই ছিল দূরত্ব। কথা বলা তো দূরে থাক সামনাসামনি হতেও অস্বস্তি ছিল। সময় বদলেছে, মানুষের চিন্তার ধরণ ও ভাবনা কাঠমাতেও এসেছে পরিবর্তন।

বিচ্ছেদের পরও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক এখন স্বাভাবিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। হলিউডের টম ক্রুজ- মিমি রজার্স,জেমস ক্যামেরন ও ক্যাথেরিন বিগেলো, ব্র্যাডলি কুপার ও জেনিফারসহ আরও অনেক তারকা বিচ্ছেদের এত বছর পরও এখনও তাদের বন্ধুত্ব অটুট।

এদিকে বলিউডের অমৃতা সিং ও সাইফ আলী খান, মালাইকা আরোরা ও আরবাজ খান, কারিশমা-সঞ্জয় কাপুর, হৃতিক-সুজানা, আমির-কিরন যারা বিচ্ছেদের পরও এখনও একইসাথে সময় কাটান। এমনকি নিজেদের ভালো বন্ধুও বলে দাবি করেন। বাংলাদেশের অনেকে তারকা দম্পতিদের বিচ্ছেদের পরও পারস্পারিক শ্রদ্ধাবোধ অক্ষুণ্ন থাকতে দেখা গেছে। উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, তাহসান-মিথিলা, হুমায়ুন ফরীদি-সুবর্ণা মুস্তাফা দম্পতি।

বেশ কিছুদিন আগে বিখ্যাত সাধারণ জ্ঞানের কমিউনিটি ওয়েবসাইট ‘কোরা’তে একজন এ প্রশ্নটি করেছিলেন। সেখানে আলোচনায় উঠে আসা কয়েকটি উল্লেখযোগ্য পয়েন্ট তুলে ধরতে পারি আমরা। সম্পর্কে জড়ালেই কেবল বাস্তবতার দেখা মেলে, ব্যস্ত শিডিউল, নার্সিসিজম, পেশাগত ঈর্ষা, অর্থনৈতিক নিরাপত্তা।
বিচ্ছেদের পর বন্ধুত্বের সম্পর্কের রহস্য কী?

একটু যদি বিচ্ছেদ হওয়া তারকাদের পারিবারিক অবস্থার দিকে তাকাই তাহলে সর্বপ্রথম যে বিষয়টা সামনে আসবে তা হলো তাদের সন্তান। সবার না থাকলেও ৭০ শতাংশ তারকার রয়েছে সন্তান। একটা বিচ্ছেদ যে শুধু পরিবারকেই শেষ করে তা নয়, বরং সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে সন্তানদের ওপর। অনেক তারকাই তাদের সন্তানদের কথা ভেবেও বিচ্ছেদের পরে বন্ধুত্ব বজায় রাখেন। এতে সন্তানরা বাবা-মা উভয়কেই কাছে পায়।

একটা সময় ছিল যখন বিয়ে শেষ মানেই সব শেষ। এমনকি একজন আরেকজনের চেহারাও দেখতে নারাজ। বরং একজন আরেকজনের যেন শত্রুতে পরিণত হয়। সেই ট্যাবুই যেন বিলিন হতে বসেছে। পরিবর্তন হয়েছে মানুষের মন ও মানসিকতা। তারই ধারাবাহিকতাতে এখন সম্পর্ক শেষ হলেও নিজেদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে বিশ্বাসী তারা। তবে এই মনমানসিকতার জন্য অবশ্যই দুজনের প্রতি দুজনার সম্মান থাকা খুবই জরুরি।

এসএইচ-১৯/০৯/২২ (বিনোদন ডেস্ক)