নীরবতা ভেঙে যেসব অভিযোগ করলেন নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি

বলিউড অভিনেতা নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকির দাম্পত্য কলহ রোজই নতুন মোড় নিচ্ছে। দিন কয়েক আগেই ভিডিওতে কাঁদোকাঁদো কণ্ঠে তার স্ত্রী আলিয়াকে বলতে শোনা যায়, দুই সন্তানসহ আলিয়াকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন নওয়াজ।

শুধু নওয়াজ নয়, তার মায়ের দিকেও অভিযোগের আঙুল তুলেছেন আলিয়া। এতদিন এসব বিষয়ে কোনো কথা না বললেও তার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগের জবাব দিয়েছেন নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া বিবৃতিতে দাবি করেছেন, ‘একতরফা ও কারসাজি করা ভিডিও’ ছড়িয়ে দিয়ে তার চরিত্র নষ্ট করার চেষ্টা চলছে।

নওয়াজ বলেন, ‘প্রথমত আমি এবং আলিয়া বেশ কয়েক বছর ধরে একসঙ্গে থাকি না, ইতোমধ্যেই আমাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে। তবে আমরা এতদিন কেবল আমাদের বাচ্চাদের জন্যই বোঝাপড়া করছিলাম। কেউ কি জানেন, কেন আমার বাচ্চারা ভারতে আছে এবং বিগত ৪৫ দিন ধরে স্কুল যাচ্ছে না। যেখানে স্কুল আমাকে প্রতিদিন চিঠি পাঠাচ্ছে যে তাদের অনুপস্থিতির অনেক দিন হয়ে গেছে। আমার বাচ্চাদের গত ৪৫ দিন ধরে বন্দি করা হয়েছে এবং দুবাইতে তাদের স্কুলের পড়া তারা মিস করছে।’

তিনি বলেন, ‘সর্বশেষে কিন্তু সর্বনিম্ন নয় – এই গ্রহের কোনো অভিভাবক কখনই চাইবেন না যে তাদের বাচ্চাদের পড়াশোনায় বাধা পড়ুক বা তাদের ভবিষ্যতের ক্ষতি হোক। তারা সর্বদা চেষ্টা করেন সেরাটা বাচ্চাদের দিতে। আমি আজ যা উপার্জন করছি তা সবই আমার উভয় সন্তানের জন্য এবং কোন ব্যক্তিই এটি পরিবর্তন করতে পারে না। আমি শোরা এবং ইয়ানকে ভালোবাসি এবং তাদের মঙ্গল ও তাদের ভবিষ্যত সুরক্ষিত করতে আমি যে কোনও প্রান্তে যাব। আমি এখন পর্যন্ত সব মামলা জিতেছি এবং আমার বিশ্বাস অব্যাহত রাখব বিচার বিভাগের উপর। ভালোবাসা কাউকে আটকে রাখা নয়, একজনকে সঠিক পথে উড়তে দেওয়া।

নওয়াজ তার বিবৃতিতে আলিয়ার উপর কয়েকটি অভিযোগ এনেছেন-

আলিয়া শেষ চার মাস দুবাইতে সন্তানদের একা ছেড়ে দিয়েছিলেন মুম্বাইতে ডাকার আগে। দু বছর ধরে অভিনেতার পক্ষ থেকে মাসে ১০ লাখ টাকা দেওয়া হয় আলিয়াকে, দুবাইতে যাওয়ার আগে দিতেন ৫-৭ লাখ। যার মধ্যে বাচ্চাদের স্কুলের বেতন, চিকিৎসার খরচ, যাতায়াতের খরচ অবশ্য নেই।

নওয়াজ জানান, আলিয়ার প্রযোজনায় শেষ তিন ছবিতে টাকাও ঢেলেছেন তিনি, কারণ তিনি তার সন্তানদের মা।

বাচ্চাদের বিলাসবহুল গাড়ি কিনে দিয়েছিলেন নওয়াজ, যা বিক্রি করে সেই টাকা খরচ করেন আলিয়া নিজের দরকারে।

মুম্বাই ভারসোভাতে বাচ্চাদের জন্য একটি সমুদ্রমুখী বিলাসবহুল ফ্ল্যাটও কিনে দিয়েছেন, যেখানে আলিয়া নিজেও থাকেন।

নওয়াজ আরও দাবি করেন, আলিয়া শুধু টাকা চান। তাই এভাবে একের পর এক মামালা করে চলেছেন। আগের বরের নামেও এমনটা করেছিলেন। তারপর মন মতো টাকা মিলতেই সব মামলা বন্ধ করে দেন।

এসএ-১০/০৬/২৩ (বিনোদন ডেস্ক)