ঐশ্বরিয়ার প্রশংসা করে ট্রলের শিকার অভিষেক

বলিউডে অনেক বছর ধরে কাজ করলেও খুব বেশি সুবিধা করতে পারেননি অভিষেক বচ্চন। ‘অমিতাভের ছেলে’ পরিচয়টাই যেন তার নিজের পরিচয় তৈরিতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বারবার। তাই প্রায় সময়ই টুইটারে ট্রলের শিকার হতে হয় এই অভিনেতাকে।

তবে ট্রলের পাল্টা জবাব দিতে যে অভিষেক কখনো পিছপা হয় না, তা মোটামুটি সবারই জানা। সম্প্রতি আবারো এক কটু কথার জবাবে মুখ খুললেন এই অভিনেতা।

কয়েক দিন আগে মুক্তি পেয়েছে ঐশ্বরিয়া অভিনীত সিনেমা ‘পোন্নিয়িন সেলভান-২’। মুক্তির পরপরই যেটি বক্স অফিসে ব্যাপক হিট করছে। আর সেটি নিয়েই একটি টুইট করতে গিয়ে ট্রলের মুখে পড়লেন অভিষেক।

টুইটে অভিষেক লেখেন- ‘পিএস-২’ জাস্ট ফাটাফাটি! ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। গোটা টিম দারুণ কাজ করেছে। আর বউকে নিয়েও বিশেষ গর্বিত। তার এতদিনের সেরা কাজ।’

অভিষেকের সেই টুইটের জবাবেই একজন লিখেছেন- ‘তোমার তাই তো হওয়া উচিত। এবার তাকে আরও ছবি সাইন করতে দাও আর তুমি একটু আরাধ্যর খেয়াল রাখো।’ তারই জবাবে অভিষেক লিখেছেন- ‘সাইন করতে দেব? স্যার, তার (ঐশ্বরিয়া) কোনো কাজ করতে আমার অনুমতির দরকার হয় না, বিশেষ করে যা করতে সে ভালোবাসে।’

এর আগে মেয়েকে নিয়েও এরকম এক টুইটের জবাব দিয়েছিলেন অভিষেক। যেখানে এক নারী লিখেছিলেন কেন আরাধ্যকে পড়াশোনা করানোর বদলে তাকে নিয়ে সবসময় ঘুরে বেড়ান মা ঐশ্বরিয়া? মেয়েকে কি ‘বিউটি উইদাউট ব্রেইন’ বানাতে চান তারা? সেটির জবাবে অভিষেক লিখেছিলেন- ‘আমি যতদূর জানি সপ্তাহের শেষে সব স্কুলই ছুটি থাকে। আর আরাধ্য সপ্তাহের বাদ বাকি দিন স্কুলেই থাকে।’

২০০৭ সালের ২০ এপ্রিল একে অপরকে ভালোবেসে বিয়ে করেন ঐশ্বরিয়া-অভিষেক। এরপর থেকে ১৫টি বসন্ত একসঙ্গে পার করে ফেলেছেন এই জুটি। জুটিবদ্ধ হয়ে একসঙ্গে বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনয় করেছেন ঐশ্বরিয়া-অভিষেক। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘ধাই অক্ষর প্রেম কে’ (২০০০), ‘কুছ না কহো’ (২০০৩), ‘উমরাও জান’, ‘ধুম টু’ (২০০৬), ‘গুরু’ (২০০৭) এবং ‘রাবণ’ (২০১০)।

এসএ-০৪/৩০/০৪ (বিনোদন ডেস্ক)