ফিফটিতেও শুরু হতে পারে জীবন: ফারুকী

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ৫০তম জন্মদিন আজ। এ দিন রাতে জন্মদিন উপলক্ষে তার স্ত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা, মেয়ে ইলহামসহ বেশ কয়েকজন কেক কেটে জন্মদিন উদযাপন করেন এই নির্মাতার। ইতোমধ্যে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে জন্মদিনের কয়েকটি ছবি শেয়ার করে একটি পোস্ট দিয়েছেন ফারুকী। পাঠকদের জন্য স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

সারাজীবন আমি বয়স গুনি নাই, গুনছি ব্লেসিংস! আজকে আমার ৫০তম জন্মদিনে এসে তাই পেছন ফিরে নিজেকে একজন কৃতজ্ঞ মানুষই মনে হচ্ছে। সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞ পৃথিবী নামের এই গ্রহে এক চমৎকার জার্নির জন্য আমাকে নির্বাচিত করার জন্য। আমার জার্নিটা আরও কোটি রকম হতে পারতো! হতে পারতাম কীর্তনখোলা নদীর পাড়ের এক উদাসী রাখাল। কিংবা যাত্রা প্যান্ডেলের টিকিট চেকার। অথবা কোনো এক নির্জন স্কটিশ গ্রামের পাইপার। এর কোনোটাই ভালো বা খারাপ বলছি না।

এই যে বাংলাদেশের একজন গল্পকথক হইছি, হয়ে আমার সময়টাকে গল্পে ধরার চেষ্টা করছি, করতে গিয়ে কতো মানুষের ভালোবাসা পাইছি, কতো মানুষের সঙ্গে কতো ব্রীজ তৈরি করছি, এইসবই একেকটা ব্লেসিংস। তিশার মতো একজন সঙ্গি পাইছি এই জার্নিতে, ইলহামের মতো একটা বেহেশতের টুকরা পাইছি। আমি তার কোন নিয়ামতকে অস্বীকার করবো?

আজকে পিছনে ফিরে ভাবি, আমি যখন সিনেমা বানাতে শুরু করি, তখন যেসব রাস্তায় আমি হাঁটা ধরছিলাম, আমি তো পথ হারায়ে ঝরে যেতে পারতাম আরও এক স্বপ্নবান তরুন হিসেবে। কতো ঝড় গেছিলো, ভাষার ঝড়, অভিনয়ের ঝড়, এমনকি বিষয়ের ঝড়ও। আজকের সময়ে বসে হয়তো বোঝা যাবেনা একসময় ন্যাচারাল অভিনয় করাতে চাওয়াটা কতো ‘আনন্যাচারাল’ ছিলো, স্বাভাবিক সংলাপ লেখাটাও কতো বড় অপরাধ ছিলো! আজকের বাংলাদেশি ভিজুয়াল ল্যান্ডস্কেপের দিকে তাকালে সেই সব দিন অবিশ্বাস্যই মনে হয়।

হয়তো করা যেতো আরও অনেক কিছুই, আরও অনেক বেটার কিছু, কিন্তু আজকের এই দিনে এসে অপ্রাপ্তির দিকে তাকাইতে চাই না। কারণ যখনই গুনতে বসবেন, জীবনে প্রাপ্তির চেয়ে অপ্রাপ্তি বেশিই হবে। গুনতে চাই তাই ব্লেসিংস! জীবনের দুই-তৃতীয়াংশ পার করে দিয়েছি! ট্রেন যতোদূর যাবে, চাইবো সেটা যেনো মিনিংফুল জার্নি হয় আরও।

নতুন নতুন গল্পে দেখতে চাইবো সময়টাকে! আর হ্যাঁ, এমনও হইতে পারে, সিনেমা বানানোর পাশাপাশি দেখতে পারেন নতুন কোনো ভূমিকায়ও। কারণ জীবন শুরু হতে পারে ফিফটিতেও।

সবাই ভালো থাকবেন। ভালোবাসবেন সবাইকে। গভীরে নামলে দেখবেন, মানুষে মানুষে ঘৃণার আসলে কোনো গভীর কারণই নাই। আমাদের এইসব পার্থক্য সব ওপরের, সকলই কসমেটিক।

আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম আরও অভিযোগ করেন, আমার জনপ্রিয়তা দেখে কিছু রাজনীতিক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব আমার পেছনে লেগেছেন। কিন্তু হিরো আলমের জনপ্রিয়তা তারা কমাতে পারবেন না।

এসএ-০৮/০২/০৫ (বিনোদন ডেস্ক)