সিঁদুর খেললেন আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা শুভশ্রী

বাঙালির পূজার আনন্দে গা ভাসিয়েছে শিশু-কিশোর থেকে বৃদ্ধ। সাধারণ মানুষ থেকে তারকা, সকলে মেতে ওঠেন উৎসবের আনন্দে। পুজা মানেই খাওয়া- দাওয়া, আড্ডা, ঠাকুর দেখা, গান-বাজনা, প্রচুর সাজগোজ এবং ঢাকের আওয়াজ। বাদ যান না তারকারাও।

দশমী আসতেই ভারী হয় আকাশ। মা চলে যাওয়ার কষ্টে বুক ফাটে বাঙালির। আবার এক বছর পর আসবেন মা। তবে যতই কষ্ট হোক, মা-কে বিদায় জানাতে খামতি থাকে না কোনও। ওপার বাংলার পরিচালক রাজ চক্রবর্তী ও অভিনেত্রী শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের বেলাতেও তাই ঘটেছে।

এবার আরবানার ভিতরেই পূজায় মেতেছিলেন শুভশ্রী। আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা তিনি। রাজ-ইউভানকে নিয়ে রোজই মজলেন আনন্দে। মন ভরে করলেন সাজুগুজু। অঞ্জলি দেওয়া থেকে শুরু করে ঠাকুর বরণ, বাদ গেল না কিছুই। দশমীর নিরঞ্জন সম্পন্ন হতেই আরবানার মণ্ডপেই হাজির হয়েছিলেন দেবীবরণে। লাল পাড়ের সাদা শাড়ি, গলায় সোনার গয়না, মাথায় ঘোমটা। শুভশ্রীর সঙ্গে ম্যাচিং পঞ্জাবি পরেছিলেন রাজও। এমনকী খুদে ইউভানকেও পাওয়া গেল এদিন ধুতি আর পঞ্জাবিতে।

অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে সামলে রেখেছেন রাজ। তিনিই হাতে ধরেছিলেন বরণের থালা। বাঁশ দিয়ে বাঁধা, কাঠের তক্তা দিয়ে তৈরি সিঁড়ি উঠতে সাহায্য করলেন শুভশ্রীকে। সঙ্গে শুভশ্রী যখন মা-কে আদর করে বরণ করছিলেন, পরাচ্ছিলেন সিঁদুর, তখন ছবিও তুলে দিলেন তিনি বউয়ের।

ডিসেম্বরেই রাজ আর শুভশ্রীর কোল আলো করে আসার কথা রয়েছে তাদের দ্বিতীয় সন্তান। ইউভানের নতুন খেলার সঙ্গী আসার খবর ভাগ করে নিয়েছিলেন জুন মাসে। রাজ জানিয়েছিলেন, পরিকল্পনা করেই এসেছে দ্বিতীয় সন্তান। বিয়ের পর থেকেই ঠিক ছিল দুটো বাচ্চা নেবেন। এমনকী ঠিক করে রেখেছিলেন দুই সন্তানের বয়সের ফারাক রাখবেন ৩ বছর। আর ভগবানের আশীর্বাদে সেই ইচ্ছেই পূরণ হয়েছে তাদের। অক্টোবরেই ৩ বছর হল ইউভানের।

এদিকে প্রেগন্যান্সি অবস্থাতেও চুটিয়ে কাজ করেছেন শুভশ্রী। ‘আবার প্রলয়’-এর প্রচার থেকে ডান্স বাংলা ডান্সের শুট, বিজ্ঞাপনের কাজ কিছুই বাদ দেননি তিনি। এমনকী নিয়মিত শরীর চর্চাও করেছেন জিমে গিয়ে।

পুরো সময়টায় বউয়ের খেয়াল রেখেছেন রাজ। মায়ের যত্ন নিয়েছে ইউভানও। শুভশ্রীর ইচ্ছে, ছেলের পর একটা যেন মেয়ে সন্তানের আগমন ঘটে তাদের সংসারে।

এসএ-০২/১০/২৫ (বিনোদন ডেস্ক)