স্ত্রীর বিরুদ্ধে পরকীয়া ও পাসপোর্টে নাম জালিয়াতি করে সন্তানকে বিদেশে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ এনেছেন প্রযোজক সারওয়ার জাহান। টেলিভিশন ও ওটিটি প্ল্যাটফর্মের আলোচিত এ প্রযোজক বিষয়টি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।
গত ২১ অক্টোবর সারওয়ার জাহান বাদী হয়ে আদালতে একটি জালিয়াতির মামলা করেন। মামলার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৩ অক্টোবর বাদী সারওয়ার জাহানের স্ত্রী রুকাইয়া ও আনোয়ারুল কবির নামে দুজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত।
মামলার আরজিতে বলা হয়, আসামি রুকাইয়া তাহসিনা ওরফে রুকাইয়া ইসলাম ওরফে অন্তরা মেহজাবিন তার স্ত্রী থাকা অবস্থায় আনোয়ারুল কবির ওরফে শাকিলের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পালিয়ে গিয়ে কাফরুল থানাধীন ৩৪৫ দক্ষিণ কাফরুলের একটি বাসায় একত্রে বসবাস করছিলেন। মায়ের বাসায় থাকার নাম করে রুকাইয়া তাহসিনা সঙ্গে করে তার সন্তানদেরও নিয়ে যান।
এ অবস্থায় সম্প্রতি এই দুই আসামির যোগযাজশে সারওয়ার জাহানের বড় সন্তান আহিল সারওয়ারের জন্ম নিবন্ধন সনদ জালিয়াতি করে বাবার নাম আনোয়ারুল কবির বসিয়ে একটি বানোয়াট পাসপোর্ট তৈরি করেন। এক্ষেত্রে নিজের ১২ বছরের বৈধ স্বামীর নামের স্থলে ভুয়া স্বামী আনোয়ারুল কবিরের পরিচয়ে পাসপোর্ট পরিবর্তন করে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি।
একই জালিয়াতির শিকার তার ছোট সন্তান সেহরিশ সারওয়ারের ক্ষেত্রেও হয়ে থাকতে পারে বলে সারওয়ার জাহান আশঙ্কা করছেন। দুজন আসামী পরস্পর যোগযাজসে বাদী সারওয়ার জাহানের সঙ্গে বিবাহ বলবৎ থাকা অবস্থায় পরকীয়া করে, স্বামী ও সন্তানের বাবার নাম পরিবর্তন করে, জন্মনিবন্ধন সনদ জালিয়াতি করেছে। ভুয়া পাসপোর্ট বানিয়ে ভারত হয়ে ইউরোপে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল যা ফৌজদারি অপরাধ।
প্রযোজক সারওয়ার জাহান বলেন, ‘রুকাইয়া তাহসিনা ওরফে অন্তরা মেহজাবিনের সঙ্গে ২০১২ সালে আমার বিয়ে হয়। আমাদের দুই সন্তান আছে। আমার সঙ্গে থাকা অবস্থায় সে আনোয়ারুল কবির ওরফে শাকিল নামে একজনের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। ছয় বছর ধরে সে আমার ও আনোয়ারুল কবিরের সঙ্গে সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছিল। চলতি বছর ১১ জানুয়ারি আমি সেটা জেনে আলাদা হয়ে যাই।’
বাদীপক্ষের আইনজীবী আল মামুন রাসেল বলেন, ‘বাদী আদালতে দুজন আসামির বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১ ও ৪১৯ ধারায় মামলা করেন। ১ নম্বর আসামি বাদীর স্ত্রী ও ২ নম্বর আসামি তার স্ত্রীর কথিত স্বামী। আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে বাদীর সন্তানকে দেশের বাইরে নেওয়ার জন্য জালিয়াতি করে একটি জন্মসনদ তৈরি করে পাসপোর্ট করেছে। যেখানে বাদীর বাচ্চার নাম ও বাবার নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। যা আমাদের প্রচলিত আইন অনুযায়ী একটি ভয়ংকর অপরাধ। এটি জালিয়াতির পাশাপাশি শিশু পাচারের চেষ্টা ও অপরাধও বটে। আদালত আসামিদের নামে ওয়ারেন্ট ইস্যু করেছেন। আসামিরা এখনো পলাতক।’
উল্লেখ্য, এখন পর্যন্ত বেশ কিছু ওটিটি কন্টেন্ট ও নাটক প্রযোজনা করেছেন সারওয়ার জাহান। নাটকের মধ্যে কাজল আরেফিন অমি পরিচালিত ‘মিসিং’, তপু খান পরিচালিত ‘শেষ ভালোবাসা’, মাবরুর রশিদ বান্নাহর ‘জীবন’ উল্লেখযোগ্য।
এসএ-০৬/১০/২৯ (বিনোদন ডেস্ক)