ফল যা হওয়ার তাই হবে। আমি হারি আর জিতি ইনশাআল্লাহ আগামীকালকেও পুরো এলাকায় একটা শোডাউন দেব। হেরে গেলেও সবাইকে জানান দেব— আমি তাদের সঙ্গে আছি এবং ভবিষ্যতেও থাকব। ভোটগ্রহণ কেন্দ্র করে রাজশাহী-১ নির্বাচনি এলাকা গোদাগাড়ী-তানোর উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট চলছে। প্রশাসন খুবই সক্রিয় আছে। সুন্দর করে সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট হচ্ছে। ভোটের পরিবেশ নিয়ে আমার কোনো আপত্তি নেই।
রোববার সকাল ১০টায় রাজশাহীর তানোর উপজেলার মুন্ডুমালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন রাজশাহী-১ আসনে ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী অভিনেত্রী শারমিন আক্তার মাহিয়া মাহি।
মাহি আরও বলেন, সব কেন্দ্রেই আমার ট্রাক প্রতীকের এজেন্ট দেওয়া হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় এজেন্টরা কিছুটা দেরিতে কেন্দ্রে গেছেন। সব কেন্দ্রেই আমার লোকজন আছে। এটা আমার প্রথম নির্বাচন। আপনারা সবাই জানেন, অন্য অনেকের মতো আমি এখনো একদম পুরোদস্তুর রাজনীতিবিদ হয়ে উঠতে পারিনি।
তিনি বলেন, অনেকেই আমার বয়সের আগে থেকে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। তবে সামগ্রিকভাবে আমি সব কিছু বুঝে উঠতে চেষ্টা করেছি। কিছু ত্রুটি তো থাকবে। কারণ আমি একেবারে নতুন প্রার্থী। ভোটে জিতবেন কিনা— এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, পাশ করি আর ফেল করি, এখন এটা আমার কাছে বড় কোনো বিষয় না। তবে আমি মানুষের এত কাছাকাছি গেছি, বিপুলসংখ্যক মা-বোন ভাই-দাদাদের দোয়া পেয়েছি। এটা কম কিছু নয়। মানুষের দোয়া থাকলে একদিন জয় আসবেই।
মাহি বলেন, আমি রাজশাহী-১ আসনের সব গ্রাম জনপদে গেছি। এমনকি চরাঞ্চলেও গেছি। সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। মানুষের কষ্টের কথাগুলো শুনেছি। এর থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। তাদের জন্য আমার অনেক করণীয় আছে। আমি যেখানেই থাকি, তাদের জন্য কিছু করব ইনশাআল্লাহ।
অভিনেত্রী বলেন, একটা বিষয় শেখার আছে। পাঁচ বছর জনগণের কাছাকাছি গেলে, তাদের কাছে গিয়ে ভোট চাইতে হবে না। আমি মনে করি আপনি যদি ৫ বছর সময় পান তা হলে সেটি যথেষ্ট।
প্রত্যেকটা জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তোলা সম্ভব। আমি যেহেতু প্রচারের সময়টা কম পেয়েছি, এর মধ্যেও যথেষ্ট মানুষের কাছে গেছি। ভোটকেন্দ্রগুলোতে তুলনামূলক নারীদের উপস্থিতি বেশি। ভোট দিতে আসার জন্য নারীদের একটা উৎসাহ কাজ করছে। এটা মনে রাখার মতো বিষয়। তিনি আরও বলেন, প্রশাসনের কাছে প্রত্যাশা শুধু ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু নয়, পুরো প্রক্রিয়াটা যেন সুন্দরভাবে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়। কেউ কোনো ধরনের হট্টগোল করলে কেউ যেন ছাড় না পায়। আমাকে অনেকেই বলেছেন— ভোট শেষ হলে এলাকায় এলাকায় হট্টগোল হয়। এমনটা যাতে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা দরকার প্রশাসনের।
মাহি বলেন, সারাদিন আমি আরও কিছু কেন্দ্র ঘুরে দেখব ভোটের পরিবেশ।
এসএ-০৪/০৭/২৪(বিনোদন ডেস্ক)