মঙ্গলে বাতাসের শব্দ রেকর্ড নাসার (ভিডিও)

মঙ্গলে বাতাসের

মহাকাশযান ইনসাইট মঙ্গল গ্রহের বাতাসের শব্দ রেকর্ড করে পাঠিয়েছে। লাল গ্রহের মাটিতে পা ছোঁয়ানোর ১০ দিনের মধ্যেই বাতাসের শব্দ শুনতে পেল ইনসাইট। শুক্রবার ক্যালিফোর্নিয়ার নাসার জেট প্রোপালসন ল্যাব এই বাতাসের শব্দ প্রকাশ করেছে।

বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, অল্প কম্পাঙ্কসহ বাতাসের শোঁ শোঁ শব্দ সংগ্রহ করেছে ইনসাইট। তাদের ধারণা মঙ্গলে প্রতি ঘণ্টায় ১৬ থেকে ২৪ কিলোমিটার গতিতে বাতাস বয়ে যায়। এই প্রথমবার মানবসভ্যতা মঙ্গলের শব্দ শুনলো বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

জানা গেছে, গত ১ ডিসেম্বর ওই বাতাস রেকর্ড করে পাসাডেনায় নাসার জেট প্রোপালসান ল্যাবরেটরিতে রিলে করে পাঠিয়েছে ইনসাইট ল্যান্ডার। আর তা পরীক্ষা করে নাসা জানিয়েছে, গত ১ ডিসেম্বর মঙ্গলের বুকে বইতে থাকা বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ মাইল অর্থাৎ প্রতি সেকেন্ডে ৫ থেকে ৭ মিটার।

বিজ্ঞানীরা জানান, এটি পৃথিবীর চেয়ে কিছুটা পিছিয়ে। স্বাভাবিক চাপ ও তাপমাত্রায় সমতল এলাকায় আমাদের গ্রহে গড়ে সেকেন্ডে ২০ মিটার গতিবেগের মধ্যে বাতাস বইতে থাকে।

নাসা জানিয়েছে, ইনসাইটের দুটি যন্ত্রে বাতাসের সেই শব্দ ধরা পড়েছে। তাদের একটি ‘এয়ার প্রেসার সেন্সর’, যা বসানো ইনসাইটের ভেতরে রয়েছে। এটি ইনসাইটে থাকা ‘অক্সিলিয়ারি পেলোড সেন্সর সাবসিস্টেম’ (এপিএসএস)-এরই একটি অংশ। ‘এপিএসএস’ মঙ্গলের বুক থেকে মাটি তুলে আনবে। মঙ্গলের বুকে বসেই পরীক্ষানিরীক্ষা চালানোর জন্য এমনটা করবে ইনসাইট।

অন্য যন্ত্রটি ‘সাইসমোমিটার’, সেটি রাখা রয়েছে ইনসাইট ল্যান্ডারের ডেকে। ওই ‘ডেকই’মঙ্গলের মাটিতে নামিয়ে দেবে ইনসাইটের রোবট হাত। এটি লাল গ্রহের মাটি খুঁড়বে। তখন ডেকে থাকা সাইসমোমিটার মঙ্গলের পিঠের নিচে এখনও কম্পন (মার্সকোয়েক) হয় কি না, হলে তার মান কতটা পরীক্ষা করে দেখতে শুরু করবে।

নাসা জানিয়েছে, এয়ার প্রেসার সেন্সরেই বইতে থাকা বাতাসের কম্পন প্রথম সরাসরি ধরা পড়েছে। দুটি সৌর প্যানেলের ওপর দিয়ে বাতাস বয়ে যাওয়ার ফলে কেঁপে উঠেছিল ইনসাইট। নাসার ল্যান্ডারের সেই কম্পন ধরা পড়েছে সাইসমোমিটারে।

আরএম-১৭/০৯/১২ (অনলাইন ডেস্ক)