মাইকিং করে মাছ বিক্রি

মাছের ভাতে বাঙালী” এ প্রবাদ টি গ্রাম-গন্জে সব সময় প্রচলিত। মাছ আমিষ জাতীয় খাদ্য। এটি মানব দেহে পুষ্টি জোগায়। মাছ না হলে ভাত চলে না, এমটাও দেখা যায়।

লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে মাইকিং করে গ্রামে মাছ বিক্রয় জাকির হোসেস । বিষয়টি অত্যন্ত মজার। তার ডাকে গ্রামে মাছ ক্রয় করা ক্রেতার ভিড় জমে যায়। জাকির আনন্দ সহকারে মাছ বিক্রি করে।

জানতে চাইলে জাকির বলেন, গত ৭-৮ বছর গ্রামে-গন্জে ভ্যান নিয়ে মাইকিং করে মাছ বিক্রি করছি। সব মানুষ তো বাজারে যেতে পারে না। তাই গ্রামে মাছ নিয়ে যাই।

কি কি মাছ জানতে চাইলে জানান, ইলিশ,পাংগাস, পোয়া, তেলাপিয়া, রুই, কাতলসহ সব ধরনের মাছ বিক্রি করি। মাছের দাম বাজার মূল্যের মধ্যে রাখি। প্রতিদিন কমলনগরে হাজির হাট থেকে তোরাবগন্জ পর্যন্ত যাই। দশ থেকে পনের হাজার টাকার মাছ বিক্রি করি। ভালো লাভ হয়। তবে কোন কোন সময় লাভ হয় না।

নদীর পাড়ের মাছ ঘাট থেকে মাছ সংরক্ষণ করি। নদীর সব মাছ আমার কাছে ক্রেতারা পায়।

মাছ ক্রেতা মনির হোসেন জানান, প্রতিদিন বাজারে যেতে পারি না।তাই এখান থেকে মাছ কিনি।দামও কম আছে।আর সব ধরনের মাছ পাওয়া যায়।

জাকির হোসেন এর ০১ ছেলে ০১ মেয়ে এবং মা-বাবার সংসার। যে টাকা লাভ হয় মোটামুটি সংসার চলে। সে চর ফলকন লুধুয়া গ্রামের বাসিন্দা। জাকির গ্রামে মাছ বিক্রয় করে অনেকটা স্বাবলম্বী।

এসএইচ-০৩/১৩/১২ (অনলাইন ডেস্ক)