দেড়শ’ টাকার দই চোর ধরতে ৪২,০০০ টাকার ডিএনএ টেস্ট

তাইওয়ানে রুমমেটের দই চুরির দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে এক নারীকে। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে দই চোরকে সনাক্ত করা হয় বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম ।

অপরাধীর নাম প্রকাশ না করে গণমাধ্যম টিভিবিএস জানায়, তিনি তাইপেতে একটি ছাত্রাবাসে আরও পাঁচ ছাত্রীর সঙ্গে থাকতেন। তারা শহরের চাইনিজ কালচারাল ইউনিভার্সিটিতে পড়ালেখা করছেন।

গত মাসে এই ছাত্রীদের একজন দেখেন, তার কিনে রাখা দই তার অনুমতি ছাড়াই কে যেন খেয়ে ফেলেছে। দইয়ের বোতলটির দাম ছিল ৫৯ নিউ তাইওয়ান ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় দেড়শ টাকা।

বিক্ষুব্ধ ওই ছাত্রী ময়লার ঝুড়ি থেকে দইয়ের বোতল খুঁজে বের করেন এবং জানতে চান কে তার দই দই চুরি করে খেয়েছে।

যখন কেউই অপরাধ স্বীকার করে এগিয়ে আসেনি তখন তিনি ওই বোতল পুলিশের কাছে নিয়ে যান এবং আনুষ্ঠানিক তদন্তের দাবী জানান। পুলিশ তার অভিযোগ গ্রহণ করে।

বোতলটি অত্যন্ত ভিজে থাকায় সেটি থেকে চোরের আঙ্গুলের ছাপ সংগ্রহ করা সম্ভব ছিল না। একারনে পুলিশ তার রুমমেটদের ডিএনএ পরীক্ষা করে।

পুলিশ অভিযোগকারীসহ ওই রুমের সব ছাত্রীকেই পুলিশ স্টেশনে যেতে বলে তাদের পরীক্ষার জন্য।

প্রতিটি ডিএনএ টেস্টের জন্য খরচ হয় তিন হাজার তাইওয়ান ডলার বা ৯৮ মার্কিন ডলার। অর্থাৎ, সবগুলো টেস্টের জন্য বাংলাদেশি মুদ্রায় খরচ হয় প্রায় ৪২ হাজার টাকা।

তাইওয়ানের মানুষের ট্যাক্সের টাকায় এই তদন্তের খরচ চালানোয় তারা ক্ষুব্ধ হয়েছেন। সামান্য জিনিসের জন্য অনেক বাজে খরচ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করছেন তারা।

স্থানীয় এক বাসিন্দা অ্যাপল ডেইলি পত্রিকাকে বলেন, ‘এটা সমাজের সম্পদের অপচয়। আমি পুলিশ অফিসার হলে ওই মেয়েকে এক বোতল দই কিনে দিয়েই ঝামেলা মিটিয়ে ফেলতাম।’

নাম গোপন রাখার শর্তে এক পুলিশ অফিসার পত্রিকাকে জানান, ‘এই মামলাটায় মশা মারতে কামান দাগা হয়ে গেছে। পুরো বিষয়টিই মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।’

এসএইচ-০৪/১৮/১৮ (অনলাইন ডেস্ক, তথ্য সূত্র : বিবিসি)