কোনও খাবার নয়, শুধু চা খেয়ে ৩৩ বছর পার

কোনও খাবার নয়

গত তিন দশক তিনি কোনও খাবার মুখে তোলেননি। তাঁর খাদ্য বলতে স্রেফ চা। আর তাই খেয়ে তিনি বহাল তবিয়তে বেঁচে রয়েছেন। কোনও অসুখ নেই তাঁর।

এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেন থেকে জানা যাচ্ছে, ছত্তিশগড়ের কোরিয়া জেলার বারাদিয়া গ্রামের বাসিন্দা পিল্লি দেবী শুধুমাত্র চা পান করেই বেঁচে রয়েছেন গত ৩০ বছরেরও বেশি সময়। তাঁর ১১ বছর বয়সে তিনি খাবার ত্যাগ করেন এবং শুধু মাত্র চা খেয়ে প্রণধারণ করতে শুরু করেন। গ্রামের মানুষ এই ৪৪ বছর বয়স্ক মহিলাকে ‘চায়ওয়ালি চাচি’ নামেই ডাকেন।

পিল্লি দেবীর বাবা রতি রাম জানিয়েছেন, তঁর মেয়ে ক্লাস সিক্সে পড়াকালীনই খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দেন। পিল্লি দেবী সেই সময়ে জেলাস্তরের এক টুর্নামেন্টে অংশ নিতে জনকপুর গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফিরে আসার পরেই তিন হঠাৎ খাবার খাওয়া ও জল পান ত্যাগ করেন।

তবে রতি রাম এটাও জানিয়েছেন, পিল্লি দেবী চায়ের সঙ্গে বিস্কুট ও পাউরুটি খেতেন। গোড়ায় তিনি দুধ চা খেতেন। পরে তিনি লিকার চা খেতে শুরু করেন। দিনের শেষে সন্ধেবেলাতেই তিনি এক বার মাত্র চা খান এখন।

পিল্লি দেবীর আত্মীয়-স্বজন প্রথমে ভেবেছিলেন, তিনি অসুস্থ। তাঁরা তাঁকে চিকিৎসকের কাছেও নিয়ে যান। তাঁর ভাই জানিয়েছেন, চিকিৎসকরা তাঁর মধ্যে কোনও কোনও অসুস্থতা খুঁজে পাননি। তবে তাঁরে এটাও বলতে পারেননি যে, কেন পিল্লি দেবী খাওয়া-দাওয়া ত্যাগ করলেন।

কোরিয়ার জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক এস কে গুপ্তা জানিয়েছেন, কোনও মানুষের পক্ষেই শুধুমাত্র চা পান করে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। কিন্তু বারাদিয়া গ্রামের বাসিন্দারা তা মানতে রাজি নন। গ্রামবাসীদের একাংশের বক্তব্য— পিল্লি দেবী সচরাচর বাড়ি থেকে বের হন না। শিবপূজা করেই তিনি সারা দিন কাটান। অনেকে মনে করছেন, তাঁর এই বেঁচে থাকা অলৌকিক। এর পিছনে শিবের আশীর্বাদ কাজ করছে।

আরএম-১৬/১২/০১ (অনলাইন ডেস্ক, তথ্যসূত্র: এবেলা)