অন্ধ দিদিকে বের করে দিয়ে বেড়াতে গেল ভাই

হাড়–কাঁপানো ঠান্ডায় দৃষ্টিহীন প্রৌঢ়ার দিন কাটছে বাড়ির বাইরে। কনকনে শীতে অন্ধ দিদিকে বাড়ির বাইরে বের করে দিয়ে গেটে তালা দিয়ে বেড়াতে গেলেন ভাই। মহিলা পাঁচদিন পড়ে আছেন বাড়ির বাইরে। ষাটোর্ধ্ব ওই মহিলার নাম গীতা বিশ্বাস। বাড়ি ভারতের উত্তর ২৪ পরগনার হাসনাবাদ থানার টাকি কুণ্ডু পাড়ায়। বৃদ্ধার অবস্থার কথা জানতে পেরে প্রতিবেশীরা তাঁকে খেতে দিচ্ছেন।

স্থানীয় মানুষ জানিয়েছেন, জন্ম থেকেই মহিলা দৃষ্টিহীন। বিয়ে হয়নি। থাকেন ভাইয়ের আশ্রয়ে। ভাই শম্ভুনাথ বিশ্বাস প্রাক্তন সেনাকর্মী। এখন একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। শম্ভুবাবু ও তাঁর দিদি ছাড়া বাড়িতে কেউ থাকেন না।

বলতে গেলে ভাই–ই একমাত্র অবলম্বন গীতাদেবীর। টাকি পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কুণ্ডু পাড়ায় গিয়ে দেখা গেল, একতলা সদ্য রং করা বাড়ির গেটের নামফলকে গীতাদেবীর নাম জ্বলজ্বল করছে। অথচ তাঁর ঠাঁই হয়েছে বাড়ির বাইরে।

দরজায় তালা লাগিয়ে ভাই দিদিকে বাইরে বার করে রেখে গেছেন। দিদির দিন কাটছে পাশাপাশি দুটি বাড়ির মাঝে পরিত্যক্ত অংশে। রাতে এই ঠান্ডায় একইভাবে কাটছে অন্ধ মহিলার। গীতা বিশ্বাসের অভিযোগ, প্রায়ই ভাই তাঁকে মারধর করেন। এমনকী ঠিকমতো খেতে পর্যন্ত দেন না। বাড়ি থেকে যখন–তখন বার করে দেন।

অভিযোগ, পুলিশ বা প্রতিবেশীদের জানালে ফল ভাল হবে না বলে শাসান। ভাই ছাড়া অন্য কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই প্রৌঢ়ার। তাই যত কষ্টই হোক, বাড়ির বাইরে এক কোণে পড়ে আছেন প্রতিবেশীদের দয়ায়৷ এ বিষয়ে শম্ভুবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।

স্থানীয় কাউন্সিলরের স্বামী কানু দাস জানিয়েছেন, মহিলার সঙ্গে সত্যিই অমানবিক আচরণ করা হয়েছে। আজই শম্ভুবাবুর সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি।

এসএইচ-০২/২০/১৯ (অনলাইন ডেস্ক)