‘ফজরের নামাজ কখনো ক্বাজা করি নাই, ১১৯ বছরেও আমি সুস্থ্য আছি, খালি চোখেই বই পড়ি!’

ফজরের নামাজ

বার্ধক্য একটি স্বাভাবিক জৈবিক ঘটনা এবং মন্থর ও আনুক্রমিক গতিতে এগিয়ে আসা দৈহিক অবক্ষয় যার ফলে বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে কর্মক্ষমতা এবং প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায়। এর অবধারিত পরিণতি হচ্ছে মৃত্যু। সাধারণভাবে বার্ধক্য দ্বারা প্রায়ই বয়োবৃদ্ধির প্রতি ইঙ্গিত করা হয়। এটি অবশ্যম্ভাবী জৈবিক বাস্তবতা, এর একটা নিজস্ব গতি রয়েছে এবং বিভিন্ন প্রতিরোধক আবিষ্কার সত্ত্বেও তা মানুষের নিয়ন্ত্রণের বাইরে।

কিন্তু কত বয়স অতিক্রান্ত হলে একজন মানুষকে বৃদ্ধ বলে বিবেচনা করা হবে তার কোন বাঁধাধরা নিয়ম নেই। আর তাই বার্ধক্য ১১৯ বছর পরেও হার মানাতে পারেনি কুড়িগ্রামের রাজারহাটের মোঃ জোবেদ আলীকে।

তার জাতীয় পরিচয় পত্রে জন্ম তারিখ ১৯০০ সালের ২৫ অক্টোবর হলেও তার বয়স হয়তো আারো বেশী হবে। তিনি উপজেলার রাজারহাট ইউনিয়নের মেকুরটারী তেলীপাড়া গ্রামের মৃত হাসান আলীর পুত্র। তাঁর স্ত্রী ফয়জুন নেছা(৮৭), ৩পুত্র ও ৪কন্যা সহ নাতি-নাতিনী সহ বহু বন্ধু-বান্ধব ও গুনগ্রাহী রয়েছে।

৯ জানুয়ারী বুধবার দুপুরে তাঁর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, মোর ঠিক বয়স মনে নেই, তবে আইডি কাডত যা আছে তার চেয়ে বেশী হবে। ছোট বেলা থেকে যুবক বয়সে তিনি নিজের দিঘীর মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, আবাদি বিতরী ধানের ভাত, খাঁটি ঘি, সরিষার তৈল, রাসায়নিক সার বিহীন শাক-সবজি নিয়মিত খেতেন। এই বয়সে তাঁর ছোট খাট জ্ব্বর-সর্দি ছাড়া বড় ধরনের কোন রোগ ব্যধি হয় নাই।

শরীর এখনও তাঁর ভাল আছে। তিনি একশ বছর আগে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশুনা করেছেন। তাই তিনি নিয়মিত পবিত্র কুরআন-মাজিদ, পত্রিকা ও বই পড়তে পারেন। রাতে তিনি কুপি জ্বালিয়ে পবিত্র কুরআন-মাজিদ পড়েন।

তিনি আরো বলেন, কোনদিন ফজরের নামাজ আমি ক্বাজা করি নাই এবং ফজরের নামাজের পর কুরআন তেলোয়াত করি। তাই হয়তো আল্লাহ্ পাক আমাকে সুস্থ্য রেখেছেন। এজন্য আল্লাহ্র কাছে লাখো শুকরিয়া।

আরএম-০৫/২০/০১ (অনলাইন ডেস্ক)