ইউটিউব ভিডিও দেখে একি কাণ্ড করল কিশোরী!

ইউটিউব ভিডিও

বয়স ১৪ বছর। সে প্রতিনিয়ত ইউটিউব ভিডিও দেখত। এবার ইউটিউবের একটি আইটেম ভিডিও দেখে মেয়েটি বিশ্বাস করে ফেলে মানুষ মারা গেলে আবারও জীবিত হয়। মেয়েটি এটা বিশ্বাস করে যে দেহ থেকে আত্মা বেড়িয়ে যাবার পর ফের তা শরীরে প্রবেশ করানো যাবে।

এমনটা ভেবেই গলায় ফাঁস আত্মহত্যা করে ওই কিশোরী। অনেক সময় এমন প্রাণঘাতী বিশ্বাস দ্বারা তাড়িত হয় কোমলমতি শিশু-কিশোররাও।

ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাইয়ের ভোইভারা এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটেছে। বেপরোয়া অন্ধবিশ্বাসের জের ধরে নিজের জীবন বিসর্জন দিয়েছে ওই মেয়েটি।

নিহতের অভিভাবকরা জানায়, ১৪ বছর বয়সী তাদের কিশোরী মেয়েটি ইউটিউবে প্রায়ই অ্যাস্ট্রাল ট্রাভেল নামের একটি চ্যানেল দেখত। ওই ভিডিও দেখেই তার অন্ধবিশ্বাস জন্ম নেয় যে আত্মা দেহ থেকে বের করে আবার ফিরিয়ে আনা যায়।

একপর্যায়ে নিজের এই বিপথগামী ধারণা প্রমাণ করার জন্য নিজেকেই গিনিপিগ হিসেবে ব্যবহার করে। নিজে শরীর থেকে আত্মাকে বের করে দিতে পারলেও তা আর ফিরে আনতে পারেনি ওই কিশোরী।

এ ঘটনার পর পুলিশ তার মুঠোফোন থেকে বেশ কিছু ভিডিও ক্লিপ উদ্ধার করেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ওই ধরনের ভিডিও তাকে আত্মঘাতী ওই পরীক্ষায় পরিচালিত করে থাকতে পারে।

ভারতীয় একটি গণমাধ্যমের খবর থেকে জানা যায়, সর্বনাশী কাণ্ডটা ঘটানোর আগের সপ্তাহেও সে একবার এ রকম অপচেষ্টা চালিয়েছিল। কিন্তু সেবার মাটিতে শুয়ে বিশেষ কায়দায় শ্বাস নেয়া বন্ধ করে রেখেছিল মেয়েটি।

পরে এটা দেখে তার অভিভাবকরা তাকে বাধা দেয় এবং বিষয়টির অসারত্ব বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু, পরের সপ্তায় সে তার ‌কাজে যাতে কেউ বাধা দিতে না পার তাই বাথরুমে ঢুকে ফাঁসিতে ঝুলে নিজেকে শেষ করে দেয়।

কিন্তু, ফাঁসিতে ঝোলার পর বাঁচার অনেক চেষ্টা করে সে। এ সময় অস্বাভাবিক শব্দ পেয়ে পরিবারের লোকজন তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু বাঁচানো সম্ভব হয়নি তাকে। মেয়েটি তিন দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকার পর সবাইকে শোকে ভাসিয়ে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে।

আরএম-২৫/২০/০১ (অনলাইন ডেস্ক)