অস্ত্রোপচারের সময় শরীরে ভিতরেই পড়ে রইল চিকিত্সার সরঞ্জাম! ৩ মাস পর…

অস্ত্রোপচারের সময় শরীরে

অস্ত্রোপচারের সময় চিকিত্সার সরঞ্জাম (সাঁড়াঁশি) রয়ে গেল রোগীর শরীরের ভিতর! ভ্রুক্ষেপ নেই চিকিত্সকের। অস্ত্রোপচারের পর সেলাই, তার পর বেশ কিছুদিন তাঁদের পর্যবেক্ষণে থেকে ছুটি- এর মধ্যেও চিকিত্সকদের হুঁশ ফিরল না, যে এক জোড়া সাঁড়াঁশির (ফোরশেপ) মধ্যে একটি গেল কোথায়?

৩ মাস পর যখন অসহ্য পেটের যন্ত্রণা নিয়ে ওই রোগী ফের হাসপাতালে ভর্তি হন, তাঁকে এক্স-রে করে দেখে চিকিত্সকদের চক্ষু ছানাবড়া! সে কি! ওই সাঁড়াঁশি তো রোগীর শরীরের ভিতর! এমন বেআক্কালে কাণ্ড ঘটালেন হায়দরাবাদের নিজ়ামস ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সের (এনআইএমএস) চিকিত্সকরা।

সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, শহরের ওই স্বনামধন্য হাসপাতালে অস্ত্রোপচার হয় ৩৩ বছর বয়সী এক মহিলার। অস্ত্রোপচার সফল বলেই দাবি করেছিলেন চিকিত্সকরা।

ছুটি পাওয়ার ৩ মাস পর ওই মহিলার পেটে যন্ত্রণা শুরু হয়। ওই হাসপাতালের গ্যাস্ট্রোলজি বিভাগে রুটিন চেক-আপে যান ওই মহিলা।

চিকিত্সকরা তাঁর এক্স-রে করলে দেখা যায় শরীরের ভিতর আস্ত একটি সাঁড়াঁশি রয়েছে। তত্ক্ষণাত্ ফের অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন চিকিত্সকরা।

এনআইএমএস-র অধিকর্তা কে মনোহর বলেন, “রোগীর শারীরিক পরিস্থিতিকে অগ্রাধিকার রেখেই ফের তার অস্ত্রোপচার করা হয়। চিকিত্সার সরঞ্জামটি রোগীর শরীরের থেকে বার করা হয়েছে।”

গ্যাস্ট্রোলজি বিভাগের প্রথমে যে চিকিত্সকরা অস্ত্রোপচার করেছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান কে মনোহর।

জানা গিয়েছে, থানায় ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ করতে পারে রোগীর পরিবার। এমনকি উপভোক্তা আদালতে মামালা করার পরিকল্পনা করছে রোগীর পরিবার।

আরএম-১১/০৯/০২ (অনলাইন ডেস্ক)