দুই শিক্ষার্থীকে স্কুলে ‘একঘরে’ করে দেওয়া হলো!

ভারতের পুলওয়ামায় জঙ্গিহানার পর দেশটির বিভিন্ন প্রান্তে থাকা কাশ্মীরি পেশাজীবীদের বিবিধ সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার খবর বারেবারেই উঠে আসছে। এতে পিছিয়ে নেই কলকাতা শহরও। জন্মসূত্রে কাশ্মীরি হলেও এক হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ পেশারগত কারণে গত ২২ বছর ধরে কলকাতার বাসিন্দা ।

তাঁকে হুমকির মুখে পড়তে হয়েছিল পুলওয়ামার জঙ্গিহানার পর। কিন্তু তাতেও তিনি তত বিচলিত হননি। এবার এই সমস্যার মুখোমুখি হতে হলো তাঁর সাত বছর ও নয় বছরের দুই কন্যা শিশুকে। তারা কলকাতার একটি প্রথম শ্রেণির ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ছাত্রী।

ওই চিকিৎসকের অভিযোগ, তাঁর কন্যাদের ক্লাসের বাকি শিক্ষার্থীরা একেবারে ‘একঘরে’ করে দিয়েছে। কেউই তাদের সঙ্গে আর কথা বলছে না। এমনকি ওই শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরাও তাঁর কন্যাদের সঙ্গে কথা বলছেন না। স্কুলের বন্ধুরাই নয়, তাঁর কন্যাদের সঙ্গে কথা বলছে না প্রতিবেশির সন্তানরাও।

এমন অপমানের পর ওই চিকিৎসক ২২ বছর ধরে যে শহরে কাটালেন, সেই শহর ছেড়ে চলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে।

এদিকে এ ঘটনার পর ওই পরিবারটির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন এবং তাঁদের সমস্তরকম সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ শিশু অধিকাররক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তী।

তিনি সংবাদসংস্থা পিটিআইকে জানান, ‘চিকিৎসকের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি আমাকে বলেছেন- তাঁর কন্যাদের সঙ্গে ঠিকভাবে কথা বলছে না তাদের বন্ধুরা। আমি ওই চিকিৎসক এবং তাঁর পরিবারকে এই ব্যাপারটি নিয়ে দুশ্চিন্তা না করার অনুরোধ করেছি। কথা বলেছি স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও। তাঁরা আমাকে জানিয়েছেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’

তিনি আরো বলেন, “আমরা সব রকম সহায়তা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি ঠিকই। কিন্তু এটি নিঃসন্দেহে অত্যন্ত দুশ্চিন্তা করার মতোই পরিস্থিতি। এটা লোকসভা নির্বাচনের আগে ইচ্ছাকৃতভাবে করা হচ্ছে বলেই মনে হয়। বিভেদ সৃষ্টির জন্য”।

এসএইচ-১৩/২০/১৯ (অনলাইন ডেস্ক)