বিমানের এক যাত্রী বেঁচে যান ২ মিনিট দেরি হওয়ায়!

দেরি হয়েছিল মাত্র দু’মিনিট। কিন্তু তাতেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বিমানবন্দরের দরজা। বিমান ধরতে না পারায় ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন। দেরির জন্য বিমানবন্দরের কর্মীদের বিরুদ্ধে অসহযোগিতারও অভিযোগ তুলেছিলেন। আর এখন নিজের ভাগ্যকেই ধন্যবাদ দিচ্ছেন গ্রিসের এক যাত্রী। কারণ ওই মিনিট দু’য়েকের দেরির ফলেই প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন তিনি।

গত রবিবার নাইরোবিগামী ইথিয়োপিয়ান এয়ারলাইন্সের ওই বিমান ইটি-৩০২ ফ্লাইট আকাশে ওড়ার মাত্র ছ’মিনিটের মধ্যে ভেঙে পড়ে। ওই উড়ানের ৮ বিমানকর্মী ছাড়াও ১৪৯ জন যাত্রীর কেউ বেঁচে নেই। ওই উড়ানেই ১৫০তম যাত্রী হিসাবে যাওয়ার কথা ছিল গ্রিসের নাগরিক আন্তোনিস মাভরোপুলসের।

কার্যত মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে তিনি জানিয়েছেন, রবিবারটা ছিল তার জীবনের সবচেয়ে ‘লাকি ডে’। গ্রিসের নাগরিক আন্তোনিস নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ওই দিনের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেছেন। সেই সঙ্গে পোস্ট করেছেন ওই বিমানের টিকিটও।
ইন্টারন্যাশনাল সলিড ওয়েস্ট অ্যাসোসিয়েশন নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রেসিডেন্ট আন্তোনিস জানিয়েছেন, গতকাল রাষ্ট্রপুঞ্জের পরিবেশ সংক্রান্ত বার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতে নাইরোবিতে যাওয়ার কথা ছিল তার।

সে কারণে ইথিয়োপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবার বোল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। তবে সেখানে পৌঁছতে মাত্র মিনিট দুয়েক দেরি হয়ে গিয়েছিল তার। রাগে ফেটে পড়েছিলেন। তিনি লিখেছেন, “প্রচণ্ড রেগে গিয়েছিলাম। কারণ, কেউ আমাকে সময় মতো গেটে পৌঁছতে সাহায্য করেননি।”

ওই বিমান ধরতে না পারায় ফের একটি বিমানের টিকিট কাটেন আন্তোনিস। তবে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সেই উড়ানে উঠতে বাধা দেন আন্তোনিসকে। উল্টে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় বিমানবন্দরের থানায়। আন্তোনিস জানিয়েছেন, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যান। কারণ, আন্তোনিসই ওই বিমানের একমাত্র যাত্রী ছিলেন, যিনি বিমানে ওঠেননি।

থানায় পৌঁছে নিজের ক্ষোভের কথা জানাতে থাকেন আন্তোনিস। তিনি বলেন, “থানার অফিসার জানান, ঈশ্বরের কাছে ধন্যবাদ জানান। কারণ আপনিই একমাত্র যাত্রী যিনি ওই ফ্লাইট মিস করেছেন।” দুর্ঘটনার খবর জানতে পেরে স্তম্ভিত হয়ে যান আন্তোনিস। এর পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

এসএইচ-১৬/১৪/১৯ (অনলাইন ডেস্ক)