বিড়ালের বাচ্চাকে হত্যা, ফেসবুকে ভিডিও আপলোড : তরুণীর বিরুদ্ধে মামলা

বিড়ালের বাচ্চাকে হত্যা

ইশরাত জাহান মেহজাবিন নামে এক তরুণী একটি বিড়ালের বাচ্চাকে হত্যা করে ফেসবুকে ভিডিও আপলোড দিয়ে বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ আলাদা করায় তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে প্রাণীদের কল্যাণে কাজ করা সংগঠন কেয়ার ফর পস।

গতকাল বৃহস্পতিবার মুগদা থানায় এ মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার ওসি প্রলয় কুমার সাহা।

মামলাটি দায়ের করেছেন ওই সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেন।

মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৭ মার্চ রাত ১০টার দিকে জীবন্ত বিড়ালের বাচ্চাকে হত্যা ও ভিডিও ধারণ করে ইশরাত জাহান মেহজাবিন। এরপর বাচ্চাটির মৃতদেহ পলিথিনে রেখে ময়লার ঝুড়িতে ফেলে দেন এবং পরদিন ১৮ মার্চ ময়লাওয়ালা তা নিয়ে যায়।

বিড়ালটিকে হত্যার ভিডিওটি ১৭ মার্চ ধারণ করা হলেও ইশরাত জাহান তা নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে আপলোড করেন ১৯ মার্চ রাত ৯টার দিকে।

নিষ্ঠুর এই হত্যাকাণ্ডের ভিডিওটি রাতের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। একটি প্রাণীকে এভাবে হত্যার নিন্দা জানান বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। একইভাবে ভিডিওটি চোখে পড়ে প্রাণীদের কল্যাণে কাজ করা সংগঠন কেয়ার ফর পস-এর সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেনের।

তিনি প্রতিষ্ঠানের সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে তরুণীর পরিচয় ও ঠিকানা খুঁজে বের করেন। এরপর ২১ মার্চ দুপুরে ইশরাতের বাসায় যান তারা।

এ সময় ইশরাত বিড়ালের বাচ্চাটিকে হত্যা, ভিডিও ধারণ ও প্রকাশ করার বিষয়গুলো স্বীকার করে বলে জানান কেয়ার ফর পস-এর সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেন।

তিনি বলেন, ‘এই নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডের পরও তাদের মধ্যে কোনও অনুশোচনা দেখিনি। মুখে স্যরি বললেও ইশরাত এবং তার পরিবারের লোকজনের মধ্যে দুঃখবোধ ছিল না। উল্টো তারা শুরুতে বলেছিল, একটি বিড়ালই তো মেরেছে! কী আর হয়েছে?’

জাহিদ হোসেন বলেন, ‘মামলাটি ১৯২০ সালের প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুরতা আইনে করা হয়েছে। আমরা এর পাশাপাশি সাইবার অ্যাক্টেও মামলাটি করতে চেয়েছিলাম। পুলিশ আমাদের সহযোগিতা করেছে। তবে সাইবারে মামলা নেওয়া হয়নি। আমরা এই মামলাটি করেছি যাতে ভবিষ্যতে কেউ প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুর হওয়ার আগে ভাবে, এমনটি হলে তাকে আইনের মুখোমুখি হতে হবে। আমরা আইনি প্রক্রিয়ায় এগিয়ে যাব।’

আরএম-০৪/২৩/০৩ (অনলাইন ডেস্ক)