পাথর ছুড়ে মৃত্যুদণ্ডের আইন হচ্ছে

দক্ষিণ এশিয়ার মুসলিম প্রধান দেশ ব্রুনাইয়ে আগামী সপ্তাহ থেকে নতুন একটি আইন কার্যকর হতে যাচ্ছে। আইন অনুযায়ী কেউ যদি সমকামী হয় তাহলে পাথর ছুড়ে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে এমন তথ্যই জানিয়েছে।

সিএনএন বলছে, দেশটিতে আগামী ৩ এপ্রিল থেকে আদিম এই আইনটি কার্যকর হবে। দণ্ডবিধি অনুযায়ী, কেউ যদি সমকামিতার সঙ্গে যুক্ত থাকে তাহলে একদল মুসলিম মানুষের সামনে পাথর ছুড়ে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে। এ ছাড়া ডাকাতির শাস্তি হিসেবে অঙ্গচ্ছেদের বিধানও করেছে দেশটি।

ব্রুনাই সদ্যপ্রণীত এই পাশবিক আইনটি প্রণয়নের ঘোষণা দেয়া হয় ২০১৪ সালে। ঘোষণার পর থেকে ধীরে ধীরে কিছুটা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। নতুন করে যুক্ত অমানবিক এই আইনের এমন দণ্ডবিধি যোগ করা হলো।

ব্রুনাইয়ে সদ্য যোগ হওয়ার এসব দণ্ডবিধিকে নিষ্ঠুর ও অমানবিক বর্ণনা করে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো। বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার নিয়ে সবেচেয়ে প্রতিষ্ঠার অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ব্রুনাইকে এস দণ্ডবিধি রহিত করার আহ্বান জানিয়েছে।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘ব্রুনাইকে অবশ্যই এসব অমানবিক শস্তির বিধান কার্যকর বন্ধ করতে হবে। এ ছাড়া তাদের দণ্ডবিধিকে মানবাধিকারের শর্ত মেনেই চলতে হবে। ব্রুনাই যাতে এসব পাশবিক দণ্ডবিধির বাস্তবায়ন করতে না পারে তার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিন্দা জানানো জরুরি।’

দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম দেশ যারা বেত্রঘাতের মতো শাস্তি তাদের দণ্ডবিধিতে রেখে শরিয়াঞ আইন পাস করে। ২০১৪ সালে তাদের এমন সিদ্ধান্তের পর আন্তর্জাতিকভাবে ব্যপক ক্ষোভ নিন্দা ছড়িয়ে পড়ে।

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনানুযায়ী, যে কোনো পরিস্থিতিতে পাথর ছোড়া, অঙ্গচ্ছেদ অথবা বেত্রাঘাত, আইনি সংস্থাগুলোর হেফাজতে নিয়ে নির্যাতনসহ সব ধরনের শারীরিক শাস্তি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

এসএইচ-২২/২৮/১৯ (অনলাইন ডেস্ক)