খোঁজ পাওয়া গেল মমি তৈরির কারখানার

খোঁজ পাওয়া গেল

প্রাচীন মিশরের অসংখ্য রহস্যের মধ্যে একটি মমি সংরক্ষণের প্রক্রিয়া। কী সেই পদ্ধতি, যা আজ পর্যন্ত অবিকৃত রেখেছে হাজার হাজার বছরের পুরনো মৃতদেহগুলিকে?

এই প্রশ্নের উত্তরে প্রত্নতাত্ত্বিকরা আজও ঐক্যমত হতে পারেননি। মমি-রহস্যের আখ্যানে সম্প্রতি যুক্ত হল আরও এক পালক। মিশরের এক প্রত্নক্ষেত্রে মাটির নীচে আবিষ্কৃত হল ২০০০ বছরের পুরনো মমি তৈরির কারখানা।

মিশরের কায়রো নগরীর দক্ষিণে এক প্রত্নক্ষেত্রে খননকার্য চলাকালীন এই ওয়ার্কশপটির হদিশ পাওয়া যায় বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ‘মিরর’। এই খননে উঠে এসেছে প্রচুর প্রস্তরমূর্তি, বিভিন্ন আকৃতির পাত্র ইত্যাদি।

প্রত্নবিদরা অনুমান করছেন, এই ওয়ার্কশপটি ২০০০ বছরেরও বেশি পুরনো। আনুমানিক ৬৬৪-৪০৪ খ্রিস্টপূর্বাব্দে এই ওয়ার্কশপে মমি তৈরি হতো।

প্রত্নতাত্ত্বিক দলের প্রধান বদরি হুসেইন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, কোন কোন তেল মমি তৈরিতে ব্যবহৃত হতো, তা এই আবিষ্কার থেকে জানা যাবে। জানা যাবে, বিভিন্ন রাসায়নিক সম্পর্কেও। ওই প্রত্নক্ষেত্রে একটি সুবর্ণখচিত রুপোর মুখোশও পাওয়া গিয়েছে।

মিশরের প্রত্ন বিষয়ক মন্ত্রী, খালেদ আল-আনানি জানিয়েছেন, এটা প্রকৃতই বিরল এক আবিষ্কার। আপাতত বিশ্ব তাকিয়ে রয়েছে, মমি-রহস্যের উদ্ঘাটন এই আবিষ্কারে সম্ভব হয় কি না, তার দিকে।

আরএম-০১/৩১/০৩ (অনলাইন ডেস্ক)